একই ক্ষেত আর একই পরিশ্রম... কিন্তু মাথা খাটাতেই হল কামাল, মাত্র ৭০ দিনেই কৃষকের ঝুলিতে ২০ লক্ষ টাকা ! চমকে দেবে তাঁর এই কৌশল

Last Updated:

Potato Farming Modern Techniques: এই চাষ থেকে প্রতি একর জমিতে তিনি ১০০ কুইন্টাল করে আলুর ফলন পেয়েছেন। আর এই বিপুল পরিমাণ আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। তাঁর আশা, ১৬ একর জমি চাষ করে তিনি ২৮ লক্ষ টাকা আয় করবেন।

মাথা খাটাতেই হল কামাল, মাত্র ৭০ দিনেই কৃষকের ঝুলিতে ২০ লক্ষ টাকা !
মাথা খাটাতেই হল কামাল, মাত্র ৭০ দিনেই কৃষকের ঝুলিতে ২০ লক্ষ টাকা !
নারায়ণ কোলে, জালনা: সৎ পথে থেকে যদি কঠোর পরিশ্রম করা যায়, তাহলে পাথুরে রুক্ষ জমিতেও সোনা ফলে। আর এই কথাটা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার ভোকারদান তালুকের খাণ্ডালা গ্রামের এক কৃষক। যাঁর নাম বিলাস শেষরাও সোনাওয়ানে। যিনি ১৬ একর জমিতে আলু ফলিয়েছেন। আর এই চাষ থেকে প্রতি একর জমিতে তিনি ১০০ কুইন্টাল করে আলুর ফলন পেয়েছেন। আর এই বিপুল পরিমাণ আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। তাঁর আশা, ১৬ একর জমি চাষ করে তিনি ২৮ লক্ষ টাকা আয় করবেন। এখনও পর্যন্ত ২০ লক্ষ টাকা দামের আলু তিনি বিক্রি করেছেন। জেনে নেওয়া যাক, কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এত পরিমাণ আলু ফলালেন ওই কৃষক।
১৬ একর জমিতে মোট ১৬০ কুইন্টাল বীজ:
advertisement
সূত্রের খবর, খাণ্ডালা গ্রামের বাসিন্দা বিলাস সোনাওয়ানে জিলা পরিষদ স্কুল-এর শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এর পাশাপাশি কৃষিকাজে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যান তিনি। বিপুল পরিমাণে লঙ্কাও চাষ করেছেন তিনি। আর লঙ্কা চাষের জন্য মধ্যপ্রদেশ থেকে মজুরও নিয়ে আসেন। আর এই মজুরদের মধ্যেই একজন তাঁকে আলু চাষের বুদ্ধি দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুণের মানচার জেলা থেকে পোখরাজ প্রজাতির আলুর বীজ কিনে এনেছিলেন। প্রতি কুইন্টাল বীজের দাম পড়েছিল ৩০০০ টাকা। এভাবে ১৬ একর জমিতে প্রায় ১৬০ কুইন্টাল বীজ বপন করেছিলেন। ট্রাক্টরের মাধ্যমেই বীজ বসানো হয়েছিল।
advertisement
আলু ফলানোর প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে কর্পা রোগ দেখা দেয়। সেই বিষয়টাতেও উতরে গিয়েছেন বিলাস সোনাওয়ানে। বেসাল ডোজ কীটনাশক সঠিক ভাবে জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং বাড়-বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলিও ড্রিপ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছিল। মাত্র ৭০ দিনে আলু পরিপক্ক হয়েছিল। ২৫ থেকে ৩০ জন মহিলা শ্রমিকের সাহায্য নিয়ে আলু তোলার কাজ শুরু হয়। এমনকী ফসল তোলার জন্য বিশেষ ট্রাক্টরও আনিয়েছিলেন তিনি। সম্ভাজিনগর, জলগাঁও, ভোকারদানের মতো একাধিক বাজারে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কুইন্টাল আলু বিক্রি হয়। আর প্রতি কেজিতে তার দর থাকে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। এখনও পর্যন্ত এই আলু চাষ থেকে তিনি ২০ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। আরও ৭-৮ লক্ষ টাকা উপার্জনের আশা করছেন তিনি।
advertisement
কৃষকদের উদ্দেশ্যে বিলাস শেষরাও সোনওয়ানের পরামর্শ, ক্ষেতে চাষবাস করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। পরম্পরাগত ফসল ফলানোর পরিবর্তে নতুন নতুন ফসল ফলাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এমন ফসল ফলানো উচিত, যা কম সময়ে বেশি মুনাফা প্রদান করে। আর আধুনিক চাষবাসের মাধ্যমে দারুণ আয় করা যেতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
একই ক্ষেত আর একই পরিশ্রম... কিন্তু মাথা খাটাতেই হল কামাল, মাত্র ৭০ দিনেই কৃষকের ঝুলিতে ২০ লক্ষ টাকা ! চমকে দেবে তাঁর এই কৌশল
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement