কী ভাবে মানুষের প্রিয় পোষ্য হয়ে উঠল কুকুর? তুষার যুগের সেই রহস্যের ইতিবৃত্ত মন ভালো করে দেয়!

Last Updated:

একাধিক গবেষণা জানাচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ২০,০০০-৪০,০০০ বছর আগে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়েছিল গবাদি পশু ও কুকুরদের এই গৃহপালনের প্রথা।

আজকাল প্রায়শই পোষ্যপ্রেমের নানা ঘটনা সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। বিশেষ করে কুকুররা মানুষের অত্যন্ত প্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য পোষ্য হয়ে উঠেছে অনেক দিনই। একাধিক ঘটনাতেও তার প্রমাণ মেলে। কিন্তু মানুষ ও কুকুরের তথা প্রভু ও তার পোষ্যের এই সম্পর্ক শুরু হয়েছিল কী ভাবে? এর পিছনে নীরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক সুপ্রাচীন ইতিহাস। প্রায় ১৪,০০০-২৯,০০০০ বছর আগে, তৎকালীন প্রাচীন তুষারযুগে নিহিত আছে এই সম্পর্কের বীজ। তখন খানিকটা পরিবেশ ও পরিস্থিতির জেরেই বাধ্য হয়ে কাছে এসেছিল মানুষ ও বন্যপ্রাণী।
এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলেছে। তুষার যুগে মানুষ ও নেকড়ের সম্পর্কের একাধিক তথ্যও উঠে এসেছে। একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা নানা নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেই সূত্রে জানা যায়, তখনকার দিনে গুহার মধ্যে বা জঙ্গলের কোনও নিরাপদ স্থানে বসবাস করত মানুষজন। আর খাবার হিসেবে হরিণ, ঘোড়া-সহ একাধিক তৃণভোজী প্রাণীর মাংস খেত। আর এই খাদ্যগ্রহণের পর যে অতিরিক্ত খাবার পড়ে থাকত, তা খেয়ে ফেলত নেকড়ে, বন্য কুকুর থেকে শুরু করে অন্য বন্য প্রাণীরা। স্বাভাবিক ভাবেই দু'-তিন জন শিকারি বা একজনের পক্ষে আস্ত কোনও হরিণ বা তৃণভোজী প্রাণী একা খাওয়া সম্ভব ছিল না। আর সেই সুযোগ নিত এই বন্য প্রাণীরা। বিশেষ করে যখন খুব ঠাণ্ডা পড়ত বা আবহাওয়া ভয়ঙ্কর ভাবে প্রতিকূল হয়ে উঠত, তখন গুহা বা এইজাতীয় নিরাপদ স্থানের আশেপাশে এসে বসবাস শুরু করত অন্য বন্যপ্রাণীরা। আর সেই সময় আরও দৃঢ় হয়ে উঠত পোষ্যর সঙ্গে প্রভুর সম্পর্ক।
advertisement
গবেষকদের কথায়, নেকড়ে,কুকুর বা অন্য পশুদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভাবনাতেও পরিবর্তন আসতে থাকে। তারা বুঝতে পারে শিকারে যাওয়ার সময়ে, এমনকি বিশ্রামের সময়েও আত্মরক্ষার হাতিয়ার হতে পারে এই বন্যপ্রাণীরা। সেই থেকে শুরু। একই বক্তব্য স্পষ্ট হয়েছে স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণ বীরামার কথাতেও। তিনি জানান, মানব ইতিহাসের অনেক প্রজন্ম ধীরে ধীরে পেরিয়ে এসেছে কুকুর পালনের এই প্রথা।
advertisement
advertisement
ডেইলি মেল-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিস্থিতির চাপে পড়েই পশুদের এভাবে পোষ মানানো বা গৃহপালনের ধারণার জন্ম নেয়। তুষার যুগে মানুষজন শিকার করত। আর শিকারিদের ভয়ে অনেকটা দূরে অর্থাৎ বাইরের দিকের ঘন জঙ্গলে বসবাস করত পশুদের দল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নেকড়ে ও অন্যান্য পশুরা মানুষের সংস্পর্শে আসে। নিরাপত্তা অনুভব করতে শুরু করে তারা। আর এভাবেই মানুষের সঙ্গে পোষ্যের সম্পর্ক মজবুত হয়। শিকারি থেকে ধীরে ধীরে আশ্র দাতা তথা পোষ্যের প্রভুর ভূমিকা নেয় মানুষ।
advertisement
এই সমস্ত গবেষণার সূত্র ধরে বেশ কয়েকটি পুরোনো প্রজাতির কুকুরের জেনেটিক রিসার্চের তথ্যও উঠে এসেছে। একাধিক গবেষণা জানাচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ২০,০০০-৪০,০০০ বছর আগে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়েছিল গবাদি পশু ও কুকুরদের এই গৃহপালনের প্রথা।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
কী ভাবে মানুষের প্রিয় পোষ্য হয়ে উঠল কুকুর? তুষার যুগের সেই রহস্যের ইতিবৃত্ত মন ভালো করে দেয়!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement