শিশুদের মধ্যে এইচএফএম রোগটির লক্ষণ ,উপসর্গ এবং নিবারণের উপায়

Last Updated:

হাত, পা এবং মুখের রোগ (HFM) হল একটি সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ যা মুখ ,গলা, হাত, পা এবং ডায়াপার এলাকায় যন্ত্রণাদায়ক লাল ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। কক্সস্যাকিভাইরাস বেশিরভাগ এইচএফএম সংক্রমণ ঘটায়। Hand, foot, and mouth disease (HFM) is a common viral infection that causes a painful red rash on the face, throat, hands, feet, and diaper area. Coxsackieviruses cause most HFM infections.

এইচএফএম বা হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ খুবই ছোঁয়াচে। অপরিচ্ছন্ন হাত, মলমূত্র, লালা (থুথু), নাকের শ্লেষ্মা বা ফোস্কা থেকে নিঃসৃত ফ্লুইডের সংস্পর্শে এলে খুব সহজেই তা বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ৭ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, স্কুল, প্রি স্কুল ,সামার ক্যাম্প এবং অন্যান্য জায়গা যেখানে বাচ্চারা একসাথে থাকে সেখানে সংক্রমণ ছড়ানো খুবই সাধারণ। হাত, পা এবং মুখের রোগ (HFM) হল একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা মুখ ,গলা, হাত, পা এবং ডায়াপার এলাকায় যন্ত্রণাদায়ক লাল ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। কক্সস্যাকিভাইরাস বেশিরভাগ এইচএফএম সংক্রমণ ঘটায়।
ফোস্কা ছাড়াও, বাচ্চাদের কয়েক দিনের জন্য জ্বরও থাকে এবং তারা ডিহাইড্রেটেড হতে পারে কারণ যে কোনো প্রকারের তরল খাবার খেতে গেলেও তারা খুব যন্ত্রনা ভোগ করে।  লক্ষণগুলি সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং বাচ্চারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
লক্ষণ ও উপসর্গ-
এইচএফএমডির প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেকটা সাধারণ সর্দি-কাশির মতো।
advertisement
advertisement
জ্বর : খুব বেশি জ্বর ভাইরাসের প্রথম লক্ষণ, যাবে এই ক্ষেত্রে ফুসকুড়ি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
ফুসকুড়ি : এই ধরণের লাল ফুসকুড়ি হাতের তালুতে,পায়ের তলায় এবং মুখের চারপাশে, সেইসাথে হাঁটু, কনুই, মাথা, নিতম্ব এবং যৌনাঙ্গে দেখা দিতে পারে।
অস্বস্তি বোধ : জোর বা ফুসকুড়ি না থাকলেও আপনার বাচ্চা এই সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
advertisement
খিদের অভাব : যদি আপনার সন্তান কোনো কিছু খেতে বা পান করতে না চায় ,তাহলে ভাবতে হবে যে মুখের ভিতরের ফোস্কাগুলো তার কারণ। যেহেতু এগুলি খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়।
গলা ব্যথা : যদি আপনার সন্তান গলা ব্যাথার অভিযোগ করে তবে তার জিভ এবং গলায় ছড়িয়ে পড়া ঘাগুলি তার জন্য দায়ী।
এই সংক্রমণটি প্রায়শই সংক্রামিত খাবার বা জল মুখে খাওয়ার কারণে ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে  সরাসরি সংস্পর্শেও এই রোগ শীঘ্র ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
HFM এর কোন প্রতিকার নেই এবং এটি প্রতিরোধ করার জন্য কোন ভ্যাকসিন নেই, তবে আপনার ডাক্তার আপনার সন্তানকে সুস্থ করার জন্য করার জন্য বাড়িতেই রেখে যত্নের পরামর্শ দিতে পারেন।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
এইচএফএমডি প্রতিরোধ করার জন্য কোন ভ্যাকসিন নেই। ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার প্রথম সপ্তাহে ভাইরাসটি খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এটি আপনার সন্তান সুস্থ হওয়ার পরেও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে এবং অন্যদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে । এইচএফএমডি ছড়ানো প্রতিরোধ করতে:
advertisement
আপনার শিশুকে শেখান ফুসকুড়ি স্পর্শ না করতে, তার মুখে আঙ্গুল বা খেলনা না লাগাতে এবং তার চোখ না ঘষতে ।
আপনার শিশুকে হাঁচি কাশির সময় টিস্যু বা শার্টের হাত ব্যবহার করতে বলুন।
প্রায়ই সাবান এবং জল দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। ফুসকুড়ি স্পর্শ করার পরে, বাথরুমে যাওয়ার পরে, খাওয়ার আগে এবং পরে ,ডায়াপার পরিবর্তন করার পরে হাত ধুয়ে ফেলুন।, আপনার সন্তানকেও  প্রায়ই তার হাত ধোয়া শেখান।
advertisement
বাথরুম, খেলনা এবং অন্যান্য জিনিস যা আপনার শিশু স্পর্শ করে তা জীবাণুমুক্ত করুন। ভাইরাস এই জিনিসগুলিতে কয়েক দিন বেঁচে থাকতে পারে।
কাপ, খাবারের পাত্র, ন্যাপকিন বা তোয়ালে এবং ব্রাশের মতো ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করবেন না।
আক্রান্ত শিশুকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করা এড়িয়ে চলুন।
এই সময় বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করুন ,জাতীয় এই রোগটি না ছড়ায়।
advertisement
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শিশুদের মধ্যে এইচএফএম রোগটির লক্ষণ ,উপসর্গ এবং নিবারণের উপায়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement