শীতে ত্বকে গোলাপি আভা চাই? মিলবে রোগমুক্তিও, দুই সব্জি দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিন জুস

Last Updated:

এই দুই সবজি থেকে পুষ্টিগুণ নিংড়ে নেবার সবচেয়ে ভাল উপায় হল জুস বানিয়ে পান করা। যদি স্যালাড বা তরকারিতে না খাওয়া যায় তাহলেও জুস আদর্শ। এটা সুস্বাদুও।

শরীরের পুষ্টির জন্য যতটা সম্ভব মরশুমি ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক এবং ডায়েটেশিয়ানরা। গাজর এবং বিটরুট শীতকালের প্রধান সবজি। প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, বিশেষ করে ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এই দুই সবজি থেকে পুষ্টিগুণ নিংড়ে নেবার সবচেয়ে ভাল উপায় হল জুস বানিয়ে পান করা। যদি স্যালাড বা তরকারিতে গাজর এবং বিটরুট না খাওয়া যায় তাহলেও জুস আদর্শ। এটা সুস্বাদুও। একঘেয়েমি কাটাতে গাজর বা বিটরুটের জুস আলাদা আলাদাভাবেও পান করা যায়। তবে যে ভাবেই হোক না কেন শীতকালে এক গ্লাস গাজর-বিটরুটের জুস পান করতেই হবে।
গাজরের জুসের উপকারিতা: গাজরে ক্যালোরি কম থাকে, কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর। এই সবজিতে ভিটামিন এ, সি, কে এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। যাঁদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল তাঁদের জন্য গাজরে ভিটামিন এ-এর উপস্থিতি অত্যন্ত উপকারী। গাজরের রস নিয়মিত সেবন করলে শুধু দৃষ্টিশক্তিই উন্নত হয় না, চোখের অন্যান্য রোগও প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও গাজরের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট রয়েছে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, ত্বকে অভ্যন্তরীন উজ্জ্বলতা এনে দেয়। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও নিরাপদে গাজরের জুস পান করতে পারেন।
advertisement
advertisement
বিটরুটের উপকারিতা: ত্বকে প্রাকৃতিক গোলাপি ব্লাশ চাই? তাহলে প্রতিদিন খেতে হবে বিটরুটের জুস। যাঁদের রক্তাল্পতা রয়েছে তাঁদের জন্য এটা মহৌষধ। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা দ্রুত গতিতে নতুন লাল রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। ফোলেট (ভিটামিন বি৯) সমৃদ্ধ হওয়ায় বিট কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্যও বিটরুটের রস উপকারী। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, শরীরে প্রদাহ দমন করতে পারে এবং অন্ত্র-বান্ধব ফাইবারের ভাল ডোজ সরবরাহ করে, যা পাচনতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
advertisement
বিটরুটের তীব্র গন্ধ পছন্দ না হলে এতে কমলা বা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যায়। এতে জুস মিষ্টি লাগবে। তবে চিনি না দেওয়াই ভাল। তাহলে জুস খাওয়ার আসল উদ্দেশ্যই নষ্ট হবে। জুসে এক চিমটে সন্ধক লবণ দেওয়া যায়। কারণ এটা গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে।
advertisement
জুস পানের সঠিক সময়: গাজর-বিটরুটের জুস দিনের প্রথমার্ধেই পান করা উচিত। হয় সকালে খালি পেটে জলখাবারের আগে কিংবা দুপুরের খাবারের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে পান করার কথা বলা হয়। সূর্যাস্তের পরে খাবারের সঙ্গে গাজর-বিটরুটের জুস তো বটেই, যে কোনও ধরনের জুসই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতে ত্বকে গোলাপি আভা চাই? মিলবে রোগমুক্তিও, দুই সব্জি দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিন জুস
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement