অবিশ্বাস্য দামে ‘থ্রেড বাবা’র ডিজাইনার স্টোর থেকে শপিং করলেই রয়েছে দারুণ উপহার
- Published by:Simli Raha
- news18 bangla
Last Updated:
করোনা আবহে ভিড় এড়াতে হলে বরং ভিড় জমাতে পারেন ‘থ্রেড বাবা’র অনলাইন স্টোরে । প্রতি কেনাকাটায় রয়েছে আকর্ষণীয় উপহারও ।
#কলকাতা: পুজো তো এসেই গেল ৷ পুজোর সময় দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়ই তার প্রমাণ দিচ্ছে ৷ এই প্যানডেমিকের আবহেও পুজোর কেনাকাটায় কোনও গাফিলতি করা না-পসন্দ আম বাঙালির ৷ পুজো তো মোটে চার দিনের, কিন্তু পুজোর ভালবাসা প্রথম শুরু আকাশের নীল রঙে ভেসে বেড়ানো পেঁজা তুলো দিয়ে, তারপর ধীরে ধীরে সেটা ছড়িয়ে পড়ে পুজাবার্ষিকীর মলাটের ভাঁজে, কাশের পালক পালক কেশরের দোলায়, নতুন জামার আনকোড়া গন্ধের মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভালবাসা আর সারা বছরের তুলে রাখা আদরটা ৷
তাই অনেক যত্নে জামা, জুতো, বেল্ট, ব্যাগ, গয়নাগাটি সব নতুন হয়ে উঠতে থাকে ৷ ত্বক, চুল, নখ... তারাও নতুন হয়ে ওঠে ৷ পুজোর সেই নতুনত্বের ভিড়ে যাঁরা একটু অন্যরকমভাবে জামাকাপড়-গয়নাগাটির স্বাদ দেন তাঁদের মধ্যে একজন ‘থ্রেড বাবা’ (THREAD BABA) ৷ থ্রেড বাবা-র থেকে কেনাকাটার প্রধান সুবিধা হল, অনলাইন-অফলাইন সর্ব ঘটেই রয়েছেন এই ‘বাবা’ । করোনা আবহে ভিড় এড়াতে হলে বরং ভিড় জমাতে পারেন ‘থ্রেড বাবা’র অনলাইন স্টোরে ।
advertisement

advertisement
যাঁর হাত ধরে ‘থ্রেড বাবা’র পথচলা শুরু, তিনি ঋক ৷ কী ভাবে ফ্যাশন, স্টাইল, ডিজাইন, কস্টিউম... কথা গুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন? ঋক বললেন, ‘‘পুজোর নতুন জামাকাপড়, মায়ের সঙ্গে পুজোর শাড়ি কিনতে যাওয়া দিয়েই শুরু ৷ সে সময় খুব মন দিয়ে জামাকাপড়গুলো দেখতাম ৷ আমার পছন্দ ভাল ছিল বলে মার ব্যাগ ভর্তি হত আমার পছন্দ দিয়েই...সব্বাই প্রশংসা করত ৷ সেই থেকেই শাড়ির সঙ্গে ভালবাসা শুরু ৷’’ সেখানেই লুকিয়ে ছিল ‘থ্রেড বাবা’র জন্মের বীজটা ৷
advertisement
অনেকেই জানেন, আবার অনেকে জানেন না...গামছাই ‘থ্রেড বাবা’র আসল স্টাইল স্টেটমেন্ট ৷ গামছাকে কেন্দ্র করেই ‘থ্রেড বাবা’র যাবতীয় কাজ ৷ পাঁচ বছর আগে ‘থ্রেড বাবা’ হাঁটতে শুরু করেছিল ৷ আজ ২০২০-এ দাঁড়িয়ে নিজের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু গড়ে তুলেছে ৷ নিজেদের কাজকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, পরিচিতি দিয়েছে ৷ নিউটাউনের সাপুরজিতে ‘থ্রেড বাবা’র স্টুডিও রয়েছে ৷ এখানে এসে ভরপুর বাঙালিয়ানায় সাজবেন তো বটেই ৷ সঙ্গে পাবেন মায়ের হাতের খাঁটি বাঙালি খাবারও ৷ ‘থ্রেড বাবা’র ইউএসপি হল বাংলার আদি শিল্প তাঁতকে, বিশেষ করে গামছা তাঁতকে মেইনস্ট্রিম ফ্যাশনে অন্তর্ভুক্ত করার পিছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন ঋক ৷ প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার গামছা শিল্পীরা এখন ‘থ্রেড বাবা’র সঙ্গে যুক্ত ৷ এমনও অনেক শিল্পী আছেন, যিনি হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কোনও তাঁতের শেষ প্রজন্ম, রয়েছেন আদিবাসী শিল্পীরাও ৷ এঁদের নিয়েই পথ চলেন ঋক, পথ চলে ‘থ্রেড বাবা’ ৷
advertisement

তবে এ বছরটা সর্বক্ষেত্রেই অনেকটা আলাদা । সেই মন খুলে কেনাকাটি এ বছর নেই । প্যান্ডেল হপিং থেকে অর্থনীতি সবেতেই এ বছর ভাঁটা । তাই এই করোনা আবহে নতুন করে নিজের শিল্পী ভাই-বোনদের জন্য ভাবছেন ঋক। ঠিক কী পরিকল্পনা তাঁর? শুনে নেওয়া যাক তাঁর কথাতেই...
advertisement
ঋক বললেন, ‘‘২০২০ এমন একটা সময় যখন মানুষ সত্যিকারের কী প্রয়োজন তা বুঝেছে । কিন্তু মানুষ কোথাও যেন এখনও নিজেদের কল্যাণ ছাড়া ভাবতে শিখে উঠতে পারেনি। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার কাছে এটা দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে যে আমাদের তাঁতী ভাই দিদির সঙ্গে আমার কাঁথা, ব্লক শিল্পীদের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন। এবং এই ২০২০-তে পুজোয় আমি ঠিক তাই করেছি। এ বারের পুজো আমাদের সেই ভাই, দাদা, বোন, দিদিদের জন্য যাঁরা আমাদের মতো ডিজাইনারদের ব্যাকবোন। এ বারের পুজোতে ‘থ্রেড বাবা’ নিয়ে এসেছে এমন এক সম্ভার, যা এঁদের কাজকে আরও বেশি করে তুলে ধরে। আমাদের বাংলার গর্ব গামছার পাশাপাশি রয়েছে বাংলার হাতে বোনা মসৃণ সুতির শাড়ির বিরল সম্ভার। এই সবের সঙ্গে থাকছে চোখ ধাঁধানো ব্লকের কারুকার্য। এ বারের পুজোতে আরেকটা নতুন জিনিস রেখেছি, আমার পুরুষ বন্ধুদের জন্য । থাকছে নতুন যুগের, নতুন স্টাইলের পাঞ্জাবী এবং কাঁথা ও ব্লকের কারুকার্যে সমৃদ্ধ ধুতির সম্ভার। এছাড়া থাকছে ড্রেস, গাউন, পালাজো, ব্লাউজ, স্কার্ট, কুর্তা ইত্যাদি। এবং সব গামছা বস্ত্রের বিক্রয়ের সঙ্গে থাকবে একটি করে আকর্ষণীয় উপহার।’’
advertisement

যাঁরা এখনও পুজোর শপিং শেষ করেননি তাঁদের জন্য ‘থ্রেড বাবা’র কর্ণধার ঋক দিলেন কয়েকটি টিপস- • মা, কাকিমা, মাসি-পিসি, বয়স্ক মানুষরা ডিপ রঙের, নানা ডিজাইনের গামছা ব্লাউজ ট্রাই করতে পারেন ৷ • মাঝ বয়সী যাঁরা, বা পড়ুয়া মেয়েরা অফবিট রং ট্রাই করুন ৷ শাড়ি পরলে গামছা শাড়ি পরুন, সঙ্গে থাকুন থ্রি-কোয়ার্টার হাতা হ্লাউজ ৷ বা একই রঙের ব্যাক কাট গামছা ব্লাউজ পরুন ৷ সঙ্গে থাকুন বোহেমিয়ান গামছা জুয়েলারি ৷ • আর যদি ড্রেস পরেন তাহলে ওয়াল্ড কালার বেছে নিন ৷ ভাইব্র্যান্ট গামছা চেক ড্রেসও পরতে পারেন ৷ সকালে পরুন লুস ফিট গামছা ড্রেস, রাতের জন্য শর্ট ড্রেস ভাল লাগবে ৷ • বাবা-কাকাদের জন্য রয়েছে দারুণ গামছা পঞ্জাবী ও ধুতির কালেকশন ৷ অষ্টমীর অঞ্জলীতে বেছে নিন ‘থ্রেড বাবা’র গামছা ওয়েভড ধুতি ৷ • মাঝবয়সী ছেলেরা জিনসের সঙ্গে লুস ফিট গামছা শার্ট স্লিভস রোল করে পরতে পারেন ৷
advertisement
এ বারের পুজোতে দু’টো রং খুব ভাল চলবে ৷ মহিলাদের শাড়িতে থাকুক লাল গামছা আর ইন্ডিগো টাই ডাইয়ের কম্বিনেশন ৷ ড্রেসে থাকুন সবুজ গামছা রং ৷ ছেলেদের পাঞ্জাবী অবশ্যই লাল ৷ আর ধুতি হবে সাদা-লাল কম্বিনেশনে ৷ শাড়ির দাম শুরু ১৫০০ থেকে । ৫০০০ টাকার শাড়িও পেয়ে যাবেন । ড্রেস ৯৫০-১০,০০০ পর্যন্ত । ব্লাউজ ১০৫০-১৪৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন । পাঞ্জাবি পাবেন ১২০০-২৫০০ টাকার মধ্যে । এসব পেতে গেলে আজই চলে আসুন নিউটাউনের ‘থ্রেড বাবা’র স্টুডিও বা অনলাইন স্টোরে ৷
ছবি: ‘থ্রেড বাবা’র সৌজন্যে
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
October 14, 2020 3:35 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
অবিশ্বাস্য দামে ‘থ্রেড বাবা’র ডিজাইনার স্টোর থেকে শপিং করলেই রয়েছে দারুণ উপহার