Eye Twitching: চোখ লাফানো মানেই সাড়ে সর্বনাশ? বিজ্ঞান কী বলছে?

এই চোখ লাফানো বা চোখের পাতা কাঁপা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকম প্রচলিত ধারণা রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান অন্য কথা বলে। মেডিক্যাল পরিভাষায় একে ব্লেফারোস্প্যাজম (Blepharospasm) বলে অভিহিত করা হয় (Eye Twitching)।

সবার প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, ভারতে চোখ লাফানো নিয়ে কী প্রচলিত ধারণা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। হিন্দু শাস্ত্রে বারবার চোখ লাফানোর মতো সংস্কারের বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। মনে করা হয় যে, ঈশ্বরের যখন চোখ কাঁপে, তখন সেটা ভবিষ্যতের নানা ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে। ধর্ম এবং অঞ্চল নির্বিশেষে ভারতীয়দের মধ্যে এই সংস্কারের নানা রূপের বিষয়ে জানা যায়। তবে এই কুসংস্কারের কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে (Eye Twitching)।

আমাদের দেশে ছেলে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে চোখ লাফানোর কুসংস্কারের আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ডান চোখ লাফালে বা কাঁপলে ছেলেদের জন্য সৌভাগ্য আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। আবার অন্য দিকে বাম চোখ লাফালে বা কাঁপলে ছেলেদের জন্য তা দুর্ভাগ্যের প্রতীক এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে তা সৌভাগ্য বয়ে আনে। এটাই বিশ্বাস করে আসা হচ্ছে। আর মানুষ এই ধরনের সংস্কার বিশ্বাস করতেই পারে। তবে বিজ্ঞান বলে, এই বিশ্বাসের কোনও ভিত্তি নেই। তাই এবার বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক এই কুসংস্কারের বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে।

ডাক্তাররা বলেন, চোখের পাতা কাঁপা বা চোখ লাফানোর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ব্লেফারোস্প্যাজম। আসলে বার বার চোখ লাফানোর অর্থ হচ্ছে চোখের পাতার পেশিতে স্প্যাজম বা খিঁচুনি। যদিও এর আসল কারণ ডাক্তাররা এখনও খুঁজে বার করতে পারেননি। কিন্তু তাঁদের দাবি, এটা সেরকম উদ্বেগের বিষয় নয়। মনে করা হয়, সাধারণত অবসাদ, উচ্চমাত্রায় ক্যাফিন সেবন, চোখের শুষ্কতা প্রভৃতি কারণেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ৯৯.৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই চোখ লাফানোর সমস্যা নিজে থেকেই কমে যায় (Left Vs Right Eye Twitch Good Or Bad Luck)।

কিন্তু তার পরেও যদি চোখের পাতা কাঁপে বা চোখ লাফায়, তা হলে বুঝে নিতে হবে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হচ্ছে। তাই ভাল করে ঘুমোতে হবে, হাইড্রেটেড থাকতে হবে, ক্যাফিন সেবনের পরিমাণ কমাতে হবে। এর পাশাপাশি, চোখে জ্বালা উদ্রেককারী সামগ্রী এড়িয়ে চলতে হবে এবং চোখ শুষ্ক হয়ে আসলে আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।