হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
কোভিড ১৯ আর অন্য শ্বাসকষ্টের সমস্যার মধ্যে তফাত করবেন কীভাবে, জানুন বিশদে

Coronavirus and Shortness of Breath: কোভিড ১৯ আর অন্য শ্বাসকষ্টের সমস্যার মধ্যে তফাত করবেন কীভাবে, জানুন বিশদে

এক দিকে যেমন এই মারণ ব্যাধির প্রাথমিক উপসর্গই হল শ্বাসকষ্ট, তেমনই এই উপসর্গ অন্য বেশ কিছু অসুখেও নজরে আসে

  • Share this:

মাঝে কিছুটা হলেও দেখা গিয়েছিল আশার আলো, প্রশমিত হতে শুরু করেছিল কোভিড ১৯-এর দৌরাত্ম্য। কিন্তু তার মাঝেই আপাতত ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে চোখে অন্ধকার দেখছে দেশ। ফলে কোভিড ১৯-এর উপসর্গগুলো নতুন করে ঝালিয়ে না নিলেই নয়! কেন না, এক দিকে যেমন এই মারণ ব্যাধির প্রাথমিক উপসর্গই হল শ্বাসকষ্ট, তেমনই এই উপসর্গ অন্য বেশ কিছু অসুখেও নজরে আসে।

অন্য শ্বাসকষ্টজনিত অসুখের চেয়ে কোভিড ১৯ কোথায় আলাদা?

কোভিড ১৯ ভাইরাস আমাদের শরীরের হেলদি সেলগুলোয় সরাসরি প্রবেশ করে। এবং তার পর ওই কোষের মতো রূপ ধারণ করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিভ্রান্ত করে। অনেক সময়ে এর জেরে নিউমোনিয়া দেখা দেয়, ফুসফুস ফুলে যায় অথবা শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে ছোট ছোট থলি তৈরি হয়। এর ফলে অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যা হয় এবং থলিতে কার্বন ডাই অক্সাইড জমতে থাকে।

কোভিড ১৯ শ্বাসযন্ত্রকে কী ভাবে প্রভাবিত করে?

১. কোভিড ১৯ ফ্লুয়ের চেয়ে ১০ গুণ বেশি মারাত্মক, ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সম্ভাবনা না থাকলেও এখানে থাকে।

২. সারা শরীরে ব্যথা, মাথাধরা, ক্লান্তি কোভিড ১৯-এর তুলনায় ফ্লুর ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

৩. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া ফ্লুর ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু সচরাচর কোভিড ১৯-এ তা হয় না।

৪. কোভিড ১৯-এ ঘ্রাণশক্তি এবং স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা চলে যায়, তবে ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে তা হয় না।

৫. কোভিড ১৯-এর ক্ষেত্রে সুস্থ হতে সময় লাগে ৩ সপ্তাহের কাছাকাছি। কিন্তু ফ্লু এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়।

এই তিন সমস্যাকে কোভিড ১৯-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না-

১. অ্যালার্জিক রাইনাইটিস- এক্ষেত্রে নাসাপথে জ্বালা এবং ফোলাভাব থাকে। ঘন ঘন হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এর উপসর্গ।

২. ঠাণ্ডা লাগা- এক্ষেত্রে উপসর্গ বলতে চোখে পড়ে কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, ক্লান্তি, গায়ে মাথায় ব্যথা, গলায় ব্যথা।

৩. ফ্লু- কোভিড ১৯-এর সঙ্গে এই রোগের চরিত্রে অনেক মিলই আছে। তবে মূল প্রভেদ সেরে ওঠার সময়ে।

কোভিড ১৯-এর দুই বিরল উপসর্গ-

১. গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল প্রবলেম- এক্ষেত্রে বমিভাব, গা গোলানো দেখা যায়। দেখা যায় ডায়রিয়াও। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আগে এই সব উপসর্গ দেখা দেয়।

২. পিঙ্ক আই- সহজ ভাষায় বললে জয়বাংলা! এটিকেও কোভিড ১৯-এর বিরল উপসর্গের তালিকায় রাখা হয়েছে।

উপসর্গ ধরে কি সব সময়ে নির্ভুল ভাবে কোভিড ১৯ বোঝা যায়?

ডাক্তাররা বলছেন যে বোঝা যায় না! সেই জন্যই তাঁদের পরামর্শ- উপসর্গ দেখা দিলে অহেতুক দেরি না করা! এক্ষেত্রে একবার ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলে নেওয়া উচিত, তিনিই বুঝতে পারবেন সব চেয়ে ভালো ভাবে যে সমস্যা ঠিক কোথায়!

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Coronavirus, COVID-19, Lungs