কোভিড ১৯-এর ভাইরাস আমাদের একেকজনের শরীরে একেক রকমের প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এর মূল সূত্রটি হল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। যাঁর শরীরের অভ্যন্তরীণ এই ক্ষমতা বেশি, ভাইরাস তাঁকে সহজে কাবু করতে পারে না। কিন্তু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেই মুশকিল, তখন দেখতে দেখতে শরীরকে কব্জা করে নেয় এই মারণ ভাইরাস। মূলত এই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার দৃষ্টান্ত থেকে একাধিক গবেষণা জানিয়েছে যে করোনা কী ভাবে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে!
তবে একটা কথা বার বার করে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা- পরিস্থিতি যাই হোক, মনোবল ভেঙে গেলে চলবে না। মনোবল ঠিক থাকলে শরীরও ভাইরাসের সঙ্গে যোঝার রসদ পাবে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠেই- হোম কোয়ারান্টিনের ঠিক কোন পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি হয়ে পড়ে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে একবার করোনার সাধারণ উপসর্গগুলোয় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক!
করোনার উপসর্গ
১. শুকনো কাশি, গলায় ব্যথা
২. জ্বর বা কাঁপুনি
৩. ক্লান্তি, গায়ে ব্যথা বা মাসল পেইন
৪. মাথায় ব্য়থা
৫. নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে জল পড়া
৬. নিশ্বাস নিতে অসুবিধা
৭. খিদে কমে যাওয়া
৮. কোনও কিছুর স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া
এই লক্ষণগুলো দেখলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতেই হবে। তাঁর পরামর্শ মতো থাকতে হবে কোয়ারান্টিনে। তার মধ্যে যদি এই সব সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে এবার হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে-
১. নিশ্বাস নিতে অতিরিক্ত সমস্যা হওয়া
২. নিশ্বাস নিতে অসুবিধা, সঙ্গে বন্ধ না হওয়া কাশি
৩. অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫-এর নিচে নেমে যাওয়া
৪. মনোযোগ হারিয়ে ফেলা, ঘন ঘন বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া
৫. ঠোঁটে বা সারা মুখেই কালচে ভাব দেখা দেওয়া
৬. ৩ দিন ধরে 101°F জ্বর; নতুন করে জ্বর বা ফিরে আসা জ্বর
৭. বুকে একটানা ব্যথা
৮. জেগে থাকতে অসুবিধা হওয়া
পরামর্শ সূত্র- মিনিস্ট্রি অফ হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার গাইডলাইনস, WHO, CDC
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Home quarantine