Coronavirus Vaccine: আগামী পয়লা মে থেকে সারা দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে গণ ভ্যাকসিনেশনের উদ্যোগ। কোভিড ভাইরাসে দ্বিতীয় তরঙ্গ আটকাতে এই গণ ভ্যাকসিনেশন ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না চিকিৎসকেরা। প্রথম পর্যায়ের প্যান্ডেমিকের ঠিক বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে এই পর্যায়ে ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন অল্পবয়সী তরুণ ও তরুণীরা৷ আগামী পয়লা মে থেকে যে গণ ভ্যাকসিনেশনের প্রসেস শুরু হতে চলেছে, তার মুখ্য লক্ষ্য হবে এই অংশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া৷ ইতিমধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে নানা রকমের গুজব ছড়িয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়া আদৌ উচিত না কি উচিত নয় তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে লাখো বিতর্ক। সামাজিক নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে হাজার বিতর্কও। ১৮ থেকে ৪৫ এই অংশের মানুষদের বিশেষত মহিলাদের ভ্যাকসিন নেবার প্রশ্নে উঠেছে নানা বিতর্ক। কোভিড ভ্যাক্সিন কি প্রভাব ফেলতে পারে মহিলাদের ঋতুচক্র, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, স্তন্যদানে? সে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রিয়া ল্যাড ( Priya Lad)।
ঋতুস্রাব চলাকালীন কি ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীরে হরমোনজনিত নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু শরীরের যে অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি তা বহু বছরের ফল। একদিনে গড়ে ওঠে না বা নষ্ট হয় না। অতএব ঋতুস্রাব চলাকালীন ভ্যাকসিন নিতে কোনও সমস্যা নেই।
ঋতুস্রাব চলাকালীন তলপেটে যন্ত্রণা হয়ে থাকে। ভ্যাকসিন নিলে কি সেই যন্ত্রণা বাড়বে?
যে কোনও ভ্যাক্সিনেরই কিছু সাইড-এফেক্ট থেকে যায়। ভ্যাকসিনের ফলে গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা হওয়া, হালকা জ্বর আসা কিংবা মাথা ধরার সমস্যা থাকে। সেটা শুধু ঋতুস্রাব নয়, যে কোনও সময় হতে পারে। তাই ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও প্রভাব হবে না৷ ঋতুস্রাব চলাকালীন ভ্যাকসিন নিলে, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া কিংবা ডাক্তারের পরামর্শে প্যারাসিটামল নেওয়ার দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে।
ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরিক ক্লান্তি কি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বাড়তে পারে?
ঋতুস্রাব চলাকালীন রক্তচাপ নিচের দিকে থাকে। রক্তচাপের সমস্যার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, এনার্জি ড্রিংকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ভরা পেটে নেওয়া প্রয়োজন।
ভ্যাকসিন কি প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে?
যে কোনও মহিলার প্রজনন ক্ষমতা তার ওভারি, ইউটেরাস অথবা নানা রকম হরমোনের উপরে নির্ভরশীল। করোনা কেন, কোনও ভ্যাকসিনই সেখানে প্রভাব ফেলতে পারে না। অতএব ভ্যাকসিন নেওয়া যায় নির্দ্বিধায়।
ভ্যাকসিন নেওয়ার কত দিনের মধ্যে বাচ্চার জন্য পরিকল্পনা করা উচিত?
সাধারণত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া দরকার। তার পর বাচ্চার পরিকল্পনা করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কি ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
ভ্যাকসিনের কোনও রকম সাইড এফেক্ট নেই, যা গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব গর্ভাবস্থায় ভ্যাকসিনেশনে সমস্যা নেই।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গর্ভবতী হলে আলাদা করে কিছু করার দরকার আছে?
না, ভ্যাকসিনেশনের পর গর্ভবতী হলে আলাদা করে কিছু করার নেই।
ভ্যাকসিন কি বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে?
ভ্যাকসিনেশনের ফলে মহিলাদের শরীরে যে আ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা বুকের দুধের মধ্যে দিয়ে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে৷ অতএব ভ্যাকসিনেশনের ফলে মা ও বাচ্চা উভয়ই সুরক্ষিত থাকতে পারে।
পিসিওডি থাকলে কি ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
পিসিওডি থাকলেও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে যদিও শারীরিক ওজনবৃদ্ধি, সুগারের সমস্যা প্রভৃতি দেখা দিতে পারে৷ যদিও তা আপৎকালীন।
Priya Lad
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Covid 19 Vaccine, Menopause, Pregnancy