Coronavirus:ওমিক্রনেই শেষ নয়, আসছে বহুগুণ বেশি সংক্রামক করোনার নয়া প্রজাতি, কী বলছে WHO?

Last Updated:

বিশেষজ্ঞদের আরেক শ্রেণী মনে করছেন, ওমিক্রন-ই করোনার শেষ প্রজাতি নয়! আসতে চলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যা হবে ওমিক্রণের চেয়েও বহুগুণ বেশি ছোঁয়াচে।

#নিউ ইয়র্ক:  নতুন বছর পড়তে না পাড়তেই দাঁত-নখ বের করে ঝঁপিয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা! তৃতীয় তরঙ্গে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। মারাত্মক সংক্রামক! করোনা ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতো! অনেক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, এই ওমিক্রন-ই হার্ড ইমুইনিটি দিয়ে যাবে মানবজাতিকে, এই ভাইরাসেই হয়তো বা শেষ হবে করোনার ধ্বংসলীলা! কিন্তু না! এখনই মুক্তি নেই! বিশেষজ্ঞদের আরেক শ্রেণী মনে করছেন, ওমিক্রন-ই করোনার শেষ প্রজাতি নয়! আসতে চলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যা হবে ওমিক্রণের চেয়েও বহুগুণ বেশি ছোঁয়াচে।
ওমিক্রণ ভয়াবহ রকমের ছোঁয়াচে ঠিকই, তবে ফেটালিটি বা মর্টালিটি কম! অর্থাৎ, এই ভাইরাস সংক্রমণে উপসর্গ আগের দুটি তরঙ্গের মতো অতটা ভয়াবহ হচ্ছে না, মৃত্যুহারও কম! কিন্তু নতুন যে প্রজাতি আসতে চলেছে, সেটি কি মৃত্যুহার বাড়াবে?  কী বলছে WHO?
advertisement
advertisement
WHO-এর টেকনিক্যাল বিভাগের প্রধান মারিয়া খেরকোভ বলেন, ''করোনার পরবর্তী স্ট্রেন ওমিক্রনের চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক হবে। সেই প্রজাতি যে কম ক্ষতিকারক হবে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য মেলেনি! হয়তো সবথেকে বেশি বিপজ্জনক হবে! সেক্ষেত্রে বর্তমানে যে ভ্যাক্সিন নেওয়া রয়েছে, তার কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যাবে!' উল্লেখ্য, ওমিক্রনের ক্ষেত্রেই ভ্যাক্সিনের দুটো ডোজ নেওয়া থাকলেও বিশেষ কাজ হচ্ছে না! বলা বাহুল্য, পরবর্তী স্ট্রেনের ক্ষেত্রেও কাজ দেবে না ভ্যাক্সিন!
advertisement
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের ঘটনা বেড়েছে। বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত ওমিক্রন বৈকল্পিকের নতুন স্ট্রেনের দিকে নজর রাখছেন। এখন পর্যন্ত, আমেরিকা সহ বিশ্বের ৪০টি দেশে নতুন স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। করোনাভাইরাসের এই সংস্করণটিকে বিজ্ঞানীরা BA.2 বলছেন। এটি ওমিক্রনের চেয়ে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
এর জিনগত গঠনের কারণে, এটি সনাক্ত করা আরও কঠিন। কিছু বিজ্ঞানী এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে এই ভ্যারিয়ান্টটি আরও সংক্রামক হতে পারে। ২০২১ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে, ৩ ডজনেরও বেশি দেশে BA.2 ভ্যারিয়ান্টের প্রায় ১৫,০০০ জেনেটিক সিকোয়েন্স পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আমেরিকায় এই সিকোয়েন্সের ৯৬টি কেস পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডা. উইলি লং যিনি BA.2-এর ৩টি কেস সনাক্ত করেছেন, বলেছেন যে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের এই স্ট্রেনটি কোথা থেকে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি।
advertisement
যদিও এই মিউট্যান্ট রূপটি এশিয়া এবং ইউরোপে নরম্যাল হয়ে উঠেছে। ডেনমার্কে, কোভিডের সমস্ত ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এই স্ট্রেনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সামগ্রিকভাবে, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ওমিক্রন বৈকল্পিককে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এটি করোনাভাইরাসের একটি অত্যন্ত প্রাণঘাতী মিউট্যান্ট স্ট্রেন। স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে অনেক দেশে BA.2 ভ্যারিয়ান্টটির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা করানো উচিত। BA.2-তে জিনগত বৈশিষ্ট্য না থাকায় এটি সনাক্ত করা সহজ হবে না বলে জানা গিয়েছে। তবে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়ান্টটিকে মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে।
advertisement
ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের এই সংস্করণ থেকে রক্ষা করার জন্য, ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন যে সমস্ত নাগরিকদের তাদের জন্য উপলব্ধ করোনার টিকা নেওয়া উচিত এবং কোভিড-সম্মত আচরণ অনুসরণ করা উচিত। এর মধ্যে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ইত্যাদি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Coronavirus:ওমিক্রনেই শেষ নয়, আসছে বহুগুণ বেশি সংক্রামক করোনার নয়া প্রজাতি, কী বলছে WHO?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement