#নয়াদিল্লি: এখন প্রায় সব বাড়িতেই মাইক্রোওয়েভ রয়েছে। তবে রান্না বা বেকিংয়ের থেকে খাবার গরম করতেই এর ব্যবহার বেশি হয়! তাহলে বড় ভুল হচ্ছে। মাইক্রোওয়েভ নিঃসন্দেহে অলস মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। রান্না, বেকিং বা রান্না করা খাবার গরম করার জন্য শুধু একটা বোতাম লাগে। কিন্তু প্রতিটা খাবার গরম করার দরকার নেই। এখানে তেমনই কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা কখনওই মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়।
সবজি রান্না বা গরম করা যাবে না: এটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। কারণ বিকিরণের আকারে অতিরিক্ত তাপ শাকসবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ফল এবং সবজি তাপ এবং আর্দ্রতার সংস্পর্শে না আসে অর্থাৎ কাঁচা থাকাকালীনই সর্বাধিক পুষ্টি ধরে রাখে। মাইক্রোওয়েভে গরম করলে পুষ্টিগুণ কমতে শুরু করে। ফলে সবজির কোনও উপকার পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ঝাঁঝেরও, আবার কাজেরও! রূপচর্চায় জুড়ি নেই 'এই' তেলের, হাতে তুলে নিন আজই!
সেদ্ধ ডিম: সেদ্ধ করার পর খোসা শুদ্ধু ডিম কখনই মাইক্রোওয়েভে গরম করতে দেওয়া উচিত নয়। এতে মাইক্রোওয়েভেরই বারোটা বাজবে। বিকিরণের ফলে ডিমটা ফেটে যাবে, মাইক্রোওয়েভ নোংরা হবে। তবে এরপরও সময় বাঁচাতে মাইক্রোওয়েভে ডিম গরম করতে চাইলে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর ভিতরে ঢোকাতে হবে।
উচ্চ তাপমাত্রায় জল গরম নয়: সিরামিক বা কাচের পাত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময়ের জন্য জল গরম করা উচিত নয়। এতে জল খুব বেশি গরম হয়ে যায় কিন্তু গরম বলে মনে হয় না। বুদবুদও তৈরি হয় না। মাইক্রোওয়েভের ভিতর থেকে পাত্র সরাতে গেলে ফেটে যেতে পারে। সুতরাং, সর্বদা সর্বনিম্ন সম্ভাব্য সময়ের জন্য জল গরম করা উচিত।
ওয়েফার, চিপস কখনও নয়: কখনও কখনও বেশি ক্রিসপি করার জন্য চিপস বা ওয়েফার মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে লাভের লাভ তো কিছু হবেই না উল্টে নরম এবং পাতলা হয়ে যাবে। এগুলো খাস্তা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল একটি ট্রেতে ছড়িয়ে কিছু তেল এবং মশলা ছিটিয়ে তারপর বেক করা।
আরও পড়ুন: গরমের রূপচর্চায় কেন অপরিহার্য ফেসমাস্ক? কারণ জানলে আর বাদ দিতে পারবেন না!
হিমায়িত মাংস: মাইক্রোওয়েভে ঠান্ডা মাংস গরম করে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঠান্ডা কাটা এবং হিমায়িত মাংস গরম করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল রেফ্রিজারেটরে রাতারাতি ডিফ্রস্ট করা এবং তারপরে তা বের করে গরম করা।
তেল বা তেলযুক্ত খাবার: তেলের একটি নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্ট থাকে। তার বাইরে গরম করার ফলে খাবারের পাশাপাশি তেলের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়। এছাড়াও তেল মাইক্রোওয়েভের ভিতরে সহজে গরম হয় না। কারণ মাইক্রোওয়েভ এমন যন্ত্র যা প্রথমে পাত্রকে উত্তপ্ত করে, তারপর তার অভ্যন্তরের বস্তুকে। তাই মাইক্রোওয়েভে তেল গরম করা এড়িয়ে চলাই ভালো।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Microwave