#নয়াদিল্লি: বয়স বাড়লে সবার প্রথম প্রভাব পড়ে ত্বকে। হাত-মুখের চামড়া কুঁচকে যায়। ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক, খসখসে। দেখা যায় অজস্র বলিরেখা। অবশ্য মানসিক চাপ বা দূষণের কারণেও অনেক সময় ত্বকে এই সব প্রভাব দেখা যায়। মনে হয়, অকালে বার্ধক্য নেমে এসেছে শরীরে। তখন বেশিরভাগই অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করেন। এসব ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও লম্বা চওড়া প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়। বলা হয়, বলিরেখা উধাও হয়ে যাবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতেও নাকি এগুলো কার্যকরী। কিন্তু আদৌ কি এগুলো সত্যি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাঁ অ্যান্টি এজিং ক্রিম কাজ করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা সমস্যাগুলির চিকিৎসা এবং ত্বকের কোষগুলি মেরামত করতে কার্যকর। তবে দৈনন্দিন স্কিনকেয়ারে অ্যান্টি এজিং ক্রিম বেছে নেওয়ার আগে কয়েকটি উপাদান তাতে আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
রেটিনল: অ্যান্টি এজিং ক্রিমে ভিটামিন এ যৌগ থাকে, যা রেটিনল নামে পরিচিত। এই রেটিনল ত্বকের অকাল বার্ধক্য এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিশিষ্ট ত্বকের ভেঙে যাওয়া কোষকে মেরামত করে।
পেঁপের নির্যাস: ত্বকের পরিচর্যায় পেঁপে অপরিহার্য। এর আশ্চর্য গুণাবলী বলে শেষ করা যাবে না। পেঁপের নির্যাস ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে দেয় এবং পিগমেন্টেশন কমায়। সব ধরনের ত্বকের জন্যই পেঁপে সমান কার্যকরী। তাই অ্যান্টি এজিং ক্রিমে পেঁপের নির্যাস আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
আরও পড়ুন- কিছুতেই কমছে না ঘাড় আর কাঁধের ব্যথা? এই রোগ হয়নি তো?
হাইড্রক্সি অ্যাসিড: হাইড্রক্সি অ্যাসিড হল অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের অন্যতম প্রধান উপাদান। এটা ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে মৃত কোষগুলিকে অপসারণ করে। ফলে ত্বককে কম বয়সী দেখায়। একই সঙ্গে রঙ্গকযুক্ত ত্বকের কোষগুলির বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ই: সমস্ত রকম ত্বকের পরিচর্যায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ভিটামিন ই। এটা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বককে মসৃণ করে তোলে। ফলে বার্ধ্যকের সঙ্গে লড়াইয়ে এটা আবশ্যিক পণ্য। যে কোনও অ্যান্টি এজিং ক্রিমে ভিটামিন ই আছে কিনা সেটা দেখে নিতে ভুললে চলবে না।
গ্রিন টি-র নির্যাস: গ্রিন টি-র নির্যাস সাধারণত সমস্ত অ্যান্টি এজিং ক্রিমগুলিতে ব্যবহৃত হয়। এই নির্যাসের যৌগগুলিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের যত্নের জন্য অপরিহার্য। বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। সঙ্গে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসগুলিকেও কমিয়ে দেয়। ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতেও এই নির্যাসের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন- খাবার পরেই আঙুলে, নখে হলুদের ছোপ পড়ে যায়? রইল দাগ দূর করার ৬টি কার্যকরী উপায়
জাফরান: জাফরানের তেল ক্ষত নিরাময়ে, পিগমেন্টেশন কমাতে এবং এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। যে অ্যান্টি এজিং ক্রিমের মূল উপাদান হিসাবে জাফরানের নির্যাস রয়েছে তা সমস্ত রকম ত্বকের পরিচর্যার ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়।
রাতে শোবার আগে হাত-মুখ ভালো করে ধুয়ে অ্যান্টি এজিং ক্রিম মেখে নিতে হয়। পরদিন সকালে ধুয়ে নিলেই হবে। এর প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anti ageing