সাদা নয়, লাগত লাল কাপড়! চমকে দিচ্ছে ৩৫০০ বছর আগের মমি তৈরির প্যাপিরাস

Last Updated:

এই ম্যানুস্ক্রিপ্টটির একটি অংশ সংরক্ষিত করা হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে। অপর ভাগটি আছে ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের কার্ল্সব?

#কোপেনহেগেন: তবে যে সিনেমায়, ছবিতে সব জায়গাতেই দেখা যায় সাদা কাপড়? পাকে পাকে যা জড়ানো থাকে মৃতদেহের গায়ে?
আর ঠিক এই জায়গা থেকেই দাবি করছেন ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের ড্যানিশ ইজিপসিওলজিস্ট সোফি শিয়ট যে আদতে মমি তৈরির পদ্ধতি নিয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে পৃথিবীর সামনে। এই কাজে তাঁর সহায় হয়েছে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সব চেয়ে প্রাচীন প্যাপিরাস! যাকে আগে বলা হত প্যাপিরাস লুভর কার্ল্সবার্গ ম্যানুস্ক্রিপ্ট। কেন না এই ম্যানুস্ক্রিপ্টটির একটি অংশ সংরক্ষিত করা হয়েছে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে। অপর ভাগটি আছে ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের কার্ল্সবার্গ কালেকশনের অধীনে।
advertisement
জানা গিয়েছে যে এই ম্যানুস্ক্রিপ্টটির সম্প্রতি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আদতে এই পাঠোদ্ধারের কাজটিই ছিল সোফির পিএইচডি-র বিষয়। অবশেষে সেটা তিনি শেষ করে উঠতে পেরেছেন। আর তারই পরিণামে মিশরীয়রা কী ভাবে মৃতদেহ সংরক্ষণ করতেন, তা নিয়ে জানতে পেরেছেন নানা বিস্ময়কর তথ্য। সেই সব তথ্য নিয়ে তাঁর লেখা একটি বইও আপাতত প্রকাশের অপেক্ষায় আছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
advertisement
সোফি বলছেন যে এই ৩৫০০ বছরের পুরনো ম্যানুস্ক্রিপ্টটিই মমি তৈরি করার পদ্ধতির সব চেয়ে পুরনো প্রমাণ। এর আগে যে ম্যানুস্ক্রিপ্টগুলো পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলো মেরে-কেটে ১০০০ বছর আগের। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মমিফিকেশন ফর ডামিজ নামের এই প্যাপিরাসটি ঘিরে বিশ্ব জুড়ে কৌতূহল বৃদ্ধি পেয়েছে। তা, সেখান থেকে মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যাপারে কী জানতে পেরেছেন সোফি?
advertisement
তিনি জানিয়েছেন যে এই পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধি ব্যবহার করা হত। এই সুগন্ধিগুলোর সবটাই তৈরি হত নানা গাছ-গাছড়া থেকে। সেগুলোকে বেটে, তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি করা হত একটা সুগন্ধি মিশ্রণ। তার পর সেই মিশ্রণ মৃতদেহের গায়ে লাগিয়ে চলত তাকে শুকিয়ে তোলা পদ্ধতি। আর এই কাজে ব্যবহার করা হত লাল রঙের সুতির কাপড়। কেন না, এই লাল রং সুগন্ধ ধরে রাখার ব্যাপারে এবং মিশ্রণের রাসায়নিক গুণ ধরে রাখার ব্যাপারে এক অমোঘ ভূমিকা নিত।
advertisement
সোফির দাবি- এই মমি করার কাজটি একটানা চার দিন ধরে চলত। তার পরে একটু বিরতি নিয়ে আবার একটানা চার দিন কাজ চলত। মাঝের সময়টায় আরও কিছু কীটনাশক সুগন্ধি ব্যবহার করে খড় দিয়ে মুড়ে রাখা হত মৃতদেহ। এভাবে ৩৫ দিন কাজ চলার পরে অবশেষে কাপড় দিয়ে মুড়ে দেওয়া হত দেহটিকে। তার পর আবার কিছু রাসায়নিক প্রলেপ দেওয়া হত তার গায়ে। সব মিলিয়ে ৬৮ দিন একটি মমি তৈরি করতে সময় লাগত বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পর শোভাযাত্রা সহকারে সেই মমি রেখে আসা হত পিরামিডের ভিতরে।
advertisement
যদিও সোফির আক্ষেপ- মোটামুটি ভাবে বিশদে জানতে পারলেও এই তথ্য সম্পূর্ণ নয়। কেন না, ম্যানুস্ক্রিপ্টের বেশ কয়েকটা পাতা পাওয়া যায়নি। সেগুলো যত দিন পাওয়া না যাচ্ছে, মিশরের এই মৃতদেহ সংরক্ষণের পদ্ধতি রহস্য হয়েই থেকে যাবে ইতিহাসের গর্ভে।
Anirban Chaudhury
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
সাদা নয়, লাগত লাল কাপড়! চমকে দিচ্ছে ৩৫০০ বছর আগের মমি তৈরির প্যাপিরাস
Next Article
advertisement
Weekly Horoscope: সাপ্তাহিক রাশিফল ২৯ সেপ্টেম্বর – ৫ অক্টোবর, ২০২৫: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
সাপ্তাহিক রাশিফল ২৯ সেপ্টেম্বর – ৫ অক্টোবর, ২০২৫: দেখে নিন এই সপ্তাহ কেমন যাবে
  • সাপ্তাহিক রাশিফল ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ – ৫ অক্টোবর, ২০২৫

  • এই সপ্তাহটা কেমন যাবে আপনার?

  • দেখে নিন রাশি মিলিয়ে, জানাচ্ছেন চিরাগ দারুওয়ালা

VIEW MORE
advertisement
advertisement