#কলকাতা: দেশে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এবং এটি একটি খুবই সাধারণ রোগে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা মোট ৭৭ মিলিয়ন (৭.৭ কোটি)। যার ফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি হারানোর প্রবণতা খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিরোধযোগ্য হলেও অনেক রোগীই ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন (16% of diabetic patients go through retinopathy, where 5% have advanced retinopathy that can cause permanent eye damage)।
ভারতে প্রায় ১.১ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগের কারণে রেটিনার সমস্যায় ভুগছেন বলে অনুমান করা হয়। সব চেয়ে চিন্তার বিষয় হল, প্রতি তিনজন ডায়াবেটিস রোগীর একজনের কিছু মাত্রায় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি-২ রয়েছে। রেটিনোপ্যাথি-২ হল একটি ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা যা চোখের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ! প্যারাসেলিং করার সময় ছিঁড়ে গেল দড়ি, তারপর কী হল দম্পতির ? দেখুন ভাইরাল ভিডিও
ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনুমান করা হচ্ছে, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (DR) আক্রান্তদের ৩ জনের মধ্যে ১ জনকে প্রভাবিত করছে। এর ফলে এটি অল্প বয়স্ক এবং বয়স্কদের মধ্যে অন্ধত্বের প্রধান কারণে পরিণত হচ্ছে। ডা: অনিরুদ্ধ মাইতি (Aniruddha Maiti), নেত্রালয়ম (Netralayam) ও বিবি আই ফাউন্ডেশন ভিআইপি (BB Eye Foundation VIP)-র সিনিয়র কনসালটেন্ট, জানিয়েছেন, “ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আমরা ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখতে পেয়েছি। সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ১৬% রেটিনোপ্যাথির শিকার হন যার মধ্যে ৫% রোগীর অ্যাডভান্সড রেটিনোপ্যাথি থাকে যা চোখের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।”
জুভেনাইল ডায়াবেটিস বা টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তরুণদের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রবণতা থাকে। বিশেষ করে কোনও রোগীর যদি ১০ বছর ধরে ডায়াবেটিস থাকে তবে তার রেটিনোপ্যাথি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদেরও রেটিনা রোগের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকে। এই বিষয়ে ডা: মাইতি বলেন, “পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস থাকলে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ এবং সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি ছয় মাস পর পর রেটিনা পরীক্ষা করা উচিত। কোনও রকম উপসর্গ না থাকলেও বছরে অন্তত দুইবার চেক আপ করানো উচিত। যেহেতু ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ, তাই এই সমস্যা শুরু হওয়ার আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন- শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি? বুঝবেন মুখ দেখেই
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেটিনার সমস্যার কারণে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমাতে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসা চলাকালীন রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত এবং একটি সুস্থ জীবনযাপন করা উচিৎ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Diabetes