#কলকাতা: বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ের পরেও কাঁটা হয়ে আছে দু'টো ওয়ার্ড। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন জেতার সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই বামেদের হাতে এই দু'টি ওয়ার্ডের ভোট বেশি হওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেস শিবির৷ আর সেই কারণেই এই ফলের কারণ জানতে চেয়ে অনুসন্ধান শুরু করল তৃণমূল। সূত্রের খবর দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারের তরফে সাংগঠনিকভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করা হবে৷ পাশাপাশি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী বাবা! শত্রুঘ্ন সিনহাকে অভিনন্দন জানিয়ে উচ্ছ্বসিত সোনাক্ষী!
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে কলকাতার দুই ওয়ার্ডে কেন হার? এই প্রশ্ন ফল বেরনোর পর থেকেই উঠতে শুরু করেছে শাসক দলের অন্দরে৷ তাই এর কারণ অনুসন্ধানে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে যে ভোট পেয়েছিলেন কাউন্সিলররা, সেই ভোট কেন ধরে রাখতে পারা গেল না। কোথায় সমস্যা? সদ্য শেষ হওয়া পুরভোটে, ৬৪ নাম্বার ওয়ার্ডে ১৮৪০২ ভোট পেয়েছিলেন শাম্মি জাহান। উপনির্বাচনে এই ওয়ার্ডে ২২৪ ভোটে হেরে যান বাবুল সুপ্রিয়। পুরভোটে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২২৬৩০ ভোটে জিতেছিলেন নিবেদিতা শর্মা। উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় এই ওয়ার্ডে হেরে যান ৯১৮ ভোটে। সাড়ে তিনমাসে কেন এই হাল তারই কারণ অনুসন্ধানে নামল তৃণমূল শিবির।
আরও পড়ুন- নারকীয় হত্যা! ঝুলছে স্বামীর দেহ, বিছানায় গলার নলি কাটা অবস্থায় স্ত্রী ও তিন শিশু
উপনির্বাচনের প্রচারে ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বারবার অস্বস্তি তৈরি করেছে তৃণমূল শিবিরে। ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী সভায় পঞ্জাব হাউজে মারামারির ঘটনা ঘটে৷ আহত হন কাউন্সিলরের স্বামী-সহ একাধিক ব্যক্তি। বর্তমান কাউন্সিলর নিবেদিতা শর্মার সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর মাখনলাল দাসের গোষ্ঠীর লড়াইয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূলকে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম দুই পক্ষকে নিয়ে মিটিং করেন। মনে করা হচ্ছে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের ছাপ পড়েছে উপনির্বাচনের ইভিএমে।
অন্যদিকে কংগ্রেস শিবির থেকে এসে তৃণমূলের প্রতীকে জিতে কাউন্সিলর হন শাম্মি জাহান৷ কিন্তু ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সাথে ব্লক সভাপতি বিজলী রহমানের মতানৈক্য চলতেই থাকে। এর প্রভাব ভোট বাক্সে পড়েছে বলে মত একাংশের৷ এর মধ্যে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ওয়ার্ডে রিজওয়ানুর রহমান ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দু'জনের বাড়ি। তবে এই দুই ওয়ার্ডে দ্বন্দ্ব থামিয়ে ভোট করতে দৌড়ঝাঁপ করেছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা দেবাশিস কুমার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তারপরেও এই ফল দেখে হতাশ ঘাস ফুল শিবির৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ballygung By Election 2022, TMC