Tala Bridge: বাংলা নববর্ষে বড় উপহার, ৩৬৫ কোটির ব্যয়ে তৈরি টালা ব্রিজ ধারে-ভারে হচ্ছে অনন্য!
- Published by:Suman Biswas
Last Updated:
Tala Bridge: প্রায় শেষ অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ। শীঘ্রই শুরু হবে টালা ব্রিজের রেলের লাইনের ওপরে সেতু নির্মাণের কাজ।
#কলকাতা: নতুন করে তৈরি হতে চলা চার লেনের টালা সেতুর (Tala Bridge) অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ প্রায় শেষ৷ ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই সেতুর কাজ আগামী বছর ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। রাজ্য পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, বাংলা নববর্ষের সময়েই যান বাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হবে৷প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রেল লাইনের ওপরের অংশের কাজ বাকি৷ তার জন্যে রেলের প্রকল্প এলাকার মধ্যে পিলার নির্মাণের কাজ শেষ। অ্যাপ্রোচ রোডের বাকি থাকা অংশের কাজ শেষ হলেই রেল লাইনের ওপরের অংশের কাজ করা হবে৷
কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদনের জন্যে শীঘ্রই আবেদন করা হবে৷ নতুন টালা ব্রিজ হতে চলেছে ৮০০ মিটার লম্বা। চওড়া হবে ১৯ মিটার। এই সেতু তৈরি হচ্ছে খুবই আধুনিক প্রযুক্তিতে। কোনও নাট-বোল্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না৷ এর ফলে কাঠামোর স্থায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যাবে৷ ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে মূল নকশাটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে কমিশনার অফ রেলওয়ের ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হবে না৷ ১৯৬২ সালে সেই সময়ের সম্ভাব্য ভারবহন ক্ষমতার হিসাব অনুযায়ী টালা সেতু বানানো হয়েছিল।
advertisement
advertisement
Indian Road Congress এর কোড মেনেই এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ৩৮৫ টনের চলমান গাড়ির ওজন বহনে সক্ষম হবে এই নয়া টালা সেতু। উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র হল টালা ব্রিজ। দীর্ঘ দিনের পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সেতু। মঙ্গলবার বিধানসভায় মলয় ঘটক জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করা যায়। তার পর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এই ব্রিজের উদ্বোধন করা হতে পারে।’’
advertisement
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর কিছু দিনের মধ্যেই টালা সেতু ভাঙার কাজও শুরু হয়ে যায়। উত্তর কলকাতার ওই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, তার জীর্ণ অবস্থার কথা। তার পরেই রেলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে। এর ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার পরামর্শ আগেই দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস। তাদের মতকে সমর্থন জানিয়ে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছিলেন সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। তিনি দেশের অন্যতম সেরা সেতু বিশেষজ্ঞও বটে। রায়না টালা সেতুর হাল একাধিক বার পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিবের কাছে। সেটা ২০১৯-এর অক্টোবর।
advertisement
মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এর পরেই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মে মাসে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও পূর্ত দফতরের দায়িত্ব বদল হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী তখন ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। নতুন মন্ত্রিসভায় মলয় ঘটক পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মলয় ঘটক জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হতে পারে।নয়া টালা ব্রিজ এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে প্রায় ১০০ বছর এই সেতু ভার বহন করতে পারে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত তারা রাজ্যের সাথে যোগাযোগ রাখছে। সমস্ত নকশা ও ফাইল দ্রুত দেখে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রেল লাইনের ওপরের অংশের কাজ নিয়ে আলোচনা চলছে।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 11, 2021 5:51 PM IST