#কলকাতা: হুইল চেয়ারেই ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল, সোমবার, থেকে তার প্রচার কর্মসূচী শুরু হচ্ছে রাজ্যের জঙ্গলমহল দিয়ে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর সফর করবেন তিনি। আগামী ৫ দিন রাজ্যের এই ৫ জেলায় সফর করতে চলেছেন তিনি। গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রাম সফরে গিয়ে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে তার পায়ে আঘাত লাগে। ফলে দ্রুত কলকাতায় ফিরে আসতে হয় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ মার্চ সন্ধেয় তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। চিকিৎসকরা তাকে আরও ৪৮ ঘন্টা বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন হাসপাতালেই। কিন্তু নাছোড়বান্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে এতটুকু সময় নষ্ট করতে রাজি নন। তাই আগামিকাল থেকে হুইল চেয়ারে বসেই ভোট প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে আনা হয়েছে দুটি হুইল চেয়ার। তার মধ্যে একটি হুইল চেয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনের আসন সরিয়ে বসানো হচ্ছে। আসন অ্যাডজাস্টমেন্ট এমন ভাবে করা হচ্ছে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা রাখতে কোনও অসুবিধা না হয়। অপর একটি হুইল চেয়ার রাখা হচ্ছে যা দিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মঞ্চ এমন ভাবে করা হচ্ছে যাতে হুইল চেয়ার ওঠা-নামার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। যে ডেকরেটার্স মঞ্চ তৈরি করছে তারা জানাচ্ছে র্যাম্প থাকবে। ফলে সিঁড়ি ভেঙে ওঠা-নামার ঝক্কি থাকবে না। একজনের সাহায্যেই মঞ্চে ওঠা নামা করতে পারবেন।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর রাজনৈতিক মঞ্চের পুরোটা ব্যবহার করে বক্তৃতা করেন। হুইল চেয়ারের জন্যে তিনি নির্দিষ্ট জায়গায় অপেক্ষা করে বক্তৃতা দেবেন নাকি গোটা মঞ্চ ঘুরে ঘুরে বক্তব্য রাখবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এছাড়া হেলিকপ্টার ও বিমান থেকেও ওঠা-নামার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। সফরে বেরনোর আগে আজ ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বসেই তিনি দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করবেন। এমনটাই ঠিক ছিল। পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, "নিজের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবার সময় এখন নেই৷ আমি বিশ্বাস করি, জনতার সহযোগিতা পাব। এটাই সব চেয়ে বড় পাওয়া।" তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৫ দিনে রাজ্যের ৫ জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ১৩টি সভা করতে পারেন। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতিদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে পুরুলিয়ায় দুটি, বাঁকুড়াতে তিনটি, ঝাড়গ্রামে দুটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি, পূর্ব মেদিনীপুরে তিনটি সভা করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "আঘাত, যন্ত্রণা সব কিছুর পরেও মানুষের কাছে গিয়ে আমাকে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচনী সংগ্রামে মানুষই আমার শক্তি। তাই নিজের কষ্ট হলেও মানুষের সামনে পৌঁছে যাওয়া বেশি জরুরি।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।