Suvendu Adhikari: হঠাৎ হানা শুভেন্দুর! সঙ্গে স্লোগান, 'আর নেই দরকার...', অফিসার নাকি পালিয়ে গিয়েছেন!

Last Updated:

Suvendu Adhikari: সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন,' পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই তীব্র দাবদাহে জ্বলছে, সর্বত্রই তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির উপরে।

বিদ্যুৎ ভবনে শুভেন্দু অধিকারী
বিদ্যুৎ ভবনে শুভেন্দু অধিকারী
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘তীব্র দাবদাহে জ্বলছে গোটা বাংলা। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হচ্ছে লাগামছাড়া লোডশেডিং। যার জেরে সাধারণ মানুষের হাল বেহাল’। এমন অভিযোগকে সামনে রেখে আচমকা অগ্নিমিত্রা পাল সহ কয়েকজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে দফায় দফায় কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর কারণ জানতে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানকার বিদ্যুৎ দফতরে কর্তারা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্নের মুখে এক প্রকার দায় এড়ালেন। সদুত্তর না পেয়ে এরপর সোজা তাঁর কনভয় পৌঁছে যায় ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের দফতরে। যাওয়ার আগে বিদ্যুৎ ভবনের করিডোরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দেন, ‘আর নেই দরকার লোডশেডিংয়ের সরকার’।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন,’ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই তীব্র দাবদাহে জ্বলছে, সর্বত্রই তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির উপরে। এমন একটি হাঁসফাঁস পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতেই সারাদিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে’।
advertisement
advertisement
শুভেন্দুর দাবি,’ বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত কয়েকদিনে রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমান যথাক্রমে ৬ জুন ২১ লক্ষ ইউনিট, ৭ জুন ২৬ লক্ষ ইউনিট , ৮ জুন ৩১ লক্ষ ইউনিট , ৯ জুন ৪.৫ লক্ষ ইউনিট। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করার জন্যই লোডশেডিং করে এই তীব্র গরমে রাজ্যের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে’। সরকারের বিরুদ্ধে চড়া সুরে শুভেন্দু অধিকারীর এও অভিযোগ,’ রাজ্যের দেউলিয়া সরকার কয়লা কিনতে অক্ষম। যার ফলে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট গুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকার বিদ্যুতের এই ঘাটতির দায় চাপাচ্ছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ জনসাধারনের উপর’।
advertisement
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ আমরা সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতেই এই পরিস্থিতিতে সমাধানসূত্র খুঁজতে এবং ঘাটতির বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সচিবের সাথে আলোচনা করতে বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনেও গিয়েছিলাম। সচিব না থাকায় আমরা পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং কার্যত পালিয়ে যান।”
advertisement
শুভেন্দুর সংযোজন, ”এই তীব্র গরমে প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে নিদারুন কষ্ট ভোগ করছেন, আমরা তার নিবারণ করতে এবং লোডশেডিং বন্ধের দাবি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের কোনও আধিকারিকই কথা বলার সৌজন্যতাটুকুও দেখাননি। পরবর্তীকালে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ মানুষ, দেউলিয়া রাজ্য সরকারের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামবেন তখন এই সরকারের ঘুম ভাঙবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Suvendu Adhikari: হঠাৎ হানা শুভেন্দুর! সঙ্গে স্লোগান, 'আর নেই দরকার...', অফিসার নাকি পালিয়ে গিয়েছেন!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement