#কলকাতা: বিজেপিতে তাঁর যোগদান অমিত শাহের হাত ধরে। তখনই চাউর হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। সে দেখা হয়নি, বিজেপির অন্যতম শক্তিধর নেতা হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু। অবশেষে দেখা মিলল। ভিকটোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে এলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, এ দিন অন্তত ৪ মিনিট কথা হয় মোদি-শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সময়ে অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দুর এক সময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মোদির সকাশে আসতেই তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দু। সমর্থিত সূত্রের খবর, মোদি শুভেন্দুকে বলেন তাঁর কথা তিনি শুনেছেন।আগামী দিনের কঠিন লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে জন্য জোরালো ভাবে প্রস্তুতিও নিতে বলেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
এ দিন নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিনে কলকাতা জুড়ে আনাগোনা ছিল বিজেপির বহু নেতারই। মোদি যখন নেতাজি ভবনে যান, সেইখানে দেখা যায় স্বপন দাশগুপ্ত, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দেরও। যদিও তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করেননি। অন্য দিকে শুভেন্দুর অধিকারী পৌঁছে যান ভিক্টোরিয়ায়। সেখানে পড়ন্ত বিকেলে মোদি প্রবেশ করতেই মুখোমুখি দেখা। কয়েক ফুট দূরত্বে মমতা তখন অপেক্ষমান। মমতা-মোদি এদিন ভিক্টোরিয়ার অন্দর ঘুরে দেখেন। চাদর পরিয়ে বরণ করে নিলেও দুজনের মধ্যে দূরত্ব ছিলই।
সেই দূরত্ব প্রকট হল অনুষ্ঠান মঞ্চে। বাদ রাখা গেল না রাজনীতিও। মমতা বক্তব্য রাখতে পোর্ডিয়ামে যেতেই একদল বলে উঠলেন জয় শ্রীরাম। মমতা গোটাটা সামলালেন উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে। বললেন, প্রতিবাদে জয় হিন্দ, জয় বাংলা ছাড়া কিছুই বলবেন না তিনি।
সব মিলিয়ে নেতাজিকে স্মরণের দিনে ভিক্টোরিয়া সাক্ষী থাকল এক অদ্ভুত ত্রিকোণের, যার এক কোণে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি, অন্য দুই কোণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।