'পাড়া  পাহারাদার', লকডাউনে বহিরাগতদের রুখতে ব্যারিকেড দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই

Last Updated:

পাড়ার পাহারাদারের ভূমিকায় বুম্বা বিশ্বাস , অনিমেষ নস্করের মত আরও অনেকেই নিজেদের পাড়াকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে নিজেরাই গড়ে তুলেছেন 'পাবলিক ব্যারিকেড'।

#কলকাতা: লকডাউনকে উপেক্ষা করেই অনেক মানুষ আজ রাস্তায় নামছেন। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাটে বাজারে চলছে বিকিকিনি। সরকারের তরফ থেকে ফেস কভার বা মাস্ক মাস্ট করা হলেও অনেকেই আজও বেপরোয়া। বিভিন্ন ভাবে সরকারি স্তরে সচেতনতামূলক প্রচার । আবেদন। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং । সবই  চলছে জোর কদমে। তবু আইন ভাঙাটাই এখন আইন হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের কাছেই।
শুধু কলকাতা নয়,  রাজ্যজুড়েই এই একই ছবি। কোথাও পুলিশের ব্যারিকেড টপকে যাতায়াত। কোথাও বা নানা অজুহাতে লকডাউনে রাস্তায় নামা। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জমিয়ে আড্ডা। এসবের মাঝেও এক ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল কলকাতা শহরে। রাস্তা কিংবা অলিগলিতে পুলিশের ব্যারিকেডের  পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের উদ্যোগে অনেক জায়গায় পাড়ায় বহিরাগতদের ঢোকার ক্ষেত্রে  নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোথাও লাগিয়েছে পোস্টার।
advertisement
আবার কোথাওবা বাঁশের ব্যারিকেড করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে । একদিকে যখন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ম না মানার ছবি ধরা  পড়ছে। তখন চেতলায়  দেখা গেল অন্য ছবি। সচেতনতার ছবি।  কলকাতা পুরসভার চুয়াত্তর নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত  একাধিক জায়গায় দেখা গেল বাসিন্দারা নিজেরাই পাড়ায় ঢোকার গলির মুখে মুখে বাঁশের ব্যারিকেড গড়ে তুলেছেন।
advertisement
advertisement
সেই ব্যারিকেডের গায়ে  পোস্টারে লেখা ' বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ'। পাড়ার মোড়ে মোড়ে যুবকরা পালা করে করে ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন যে, কারা পাড়ায় ঢুকছেন  আর  কারা কারা পাড়া থেকে বের হচ্ছেন। অন্য কোনও এলাকা থেকে বহিরাগত কেউ যদি পাড়ায় ঢোকার চেষ্টা করছেন তাঁদেরকে পাড়ার যুবকরা হাতজোড় করে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এমনকী পাড়ার কেউ যদি ব্যারিকেড পার করে কোথাও যাচ্ছেন তা হলেও কী প্রয়োজনে পাড়া থেকে বাইরে বের হচ্ছেন সে বিষয়েও  তথ্য সংগ্রহ করছেন চেতলা  অঞ্চলের  জনৈক 'পাহারাদাররা'। জরুরি কাজ না থাকলে কাউকে লকডাউনের  মধ্যে বাইরে বেরোনোর অনুমতি না দিয়ে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন এলাকার যুবকরা। আর যারা খুব প্রয়োজনে পাড়া থেকে বের হয়ে ব্যারিকেড অতিক্রম করে যাচ্ছেন, সেই সমস্ত মানুষজন যদি মাস্ক না পড়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। তাঁদের বাড়ি থেকে মাস্ক, রুমাল দিয়ে নাক মুখ  ঢেকে এলেই মিলছে ব্যারিকেড অতিক্রম করে যাওয়ার অনুমতি।
advertisement
পাড়ার পাহারাদারের ভূমিকায়  বুম্বা বিশ্বাস , অনিমেষ নস্করের মত আরও  অনেকেই নিজেদের পাড়াকে  করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে  নিজেরাই গড়ে তুলেছেন  'পাবলিক ব্যারিকেড'।
তাঁদের  কথায়, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মূল বড় রাস্তা থেকে আমাদের পাড়ায় ঢোকার  সমস্ত গলির মুখে মুখে আমরা নিজেদের সুরক্ষার তাগিদে নিজেরাই সচেতন হয়ে  ব্যারিকেড  দিয়েছি। সেই সঙ্গে পাড়ার সবাই যাতে  লকডাউন মেনে চলেন  তার প্রচারও চালাচ্ছি'।
advertisement
প্রসঙ্গত,  কলকাতা সহ  রাজ্যজুড়ে  যেখানে  লকডাউন মেনে চলার  সরকারি নির্দেশিকার  কথা  কার্যত এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিচ্ছেন  একশ্রেণীর মানুষ। সেখানে  চেতলা  অঞ্চলের  নাগরিকদের  সচেতনতার  এই ছবি নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন।
VENKATESWAR  LAHIRI 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
'পাড়া  পাহারাদার', লকডাউনে বহিরাগতদের রুখতে ব্যারিকেড দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement