#কলকাতা: স্থগিতাদেশ উঠলেই দু সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চ প্রাথমিক এর যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অন্তত এমনটাই মাথায় নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি কার্যত সেরে ফেলেছে এসএসসি। সূত্রের খবর অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনরকম বিলম্ব না হয় তার জন্যই জোর তৎপরতা স্কুল সার্ভিস কমিশনের। তার জন্য বেশকিছু বদল আনা হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। বিশেষত স্থগিতাদেশ উঠলেই তারপরের দিন এই অনলাইনের মাধ্যমে সকল প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া কারা কারা সুযোগ পাচ্ছেন। তার সঙ্গেই কোন কোন স্কুলে কোন কোন বিষয়ে শূন্যপদ রয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তালিকা জানিয়ে দেওয়া হবে।
কমিশন সূত্রে খবর স্থগিতাদেশ ওঠার পর সফল প্রার্থীদের তালিকা বের করে দিয়ে তারপর দুদিনের মধ্যেই অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ করবে। অর্থাৎ প্রথম দিন সফল প্রার্থীদের তালিকা বের করবে কমিশন। তারপরে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের স্কুল পছন্দের জন্য দুদিন সময় দেওয়া হবে।
এসএসসি সূত্রের খবর ওই দুদিন সময় সফল প্রার্থীরা তাদের পছন্দমতো স্কুল বাছাই করবেন। সে ক্ষেত্রে যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে কাউন্সেলিং হবে তাই প্রার্থীদেরকে একাধিক স্কুল তাদের পছন্দমতো বাছাই করতে হবে অন্তত এমনটাই মনে করছে এসএসসি। কারণ সকল প্রার্থী যদি একটি বা দুটি স্কুল বাছাই করেন এবং সে ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় তার থেকে আগে র্যাঙ্ক করা কোনও উত্তীর্ণ প্রার্থী ওই স্কুলই পছন্দ করেছে তাহলে সেই প্রার্থীকে সেই স্কুল দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আগের সফল প্রার্থী তার পছন্দমতো স্কুল পাবে না।সেক্ষেত্রে এক একজন সফল প্রার্থীকে একাধিক পছন্দমত স্কুল বাছাই করতে হবে অন্তত তেমনটাই মনে করছে এসএসসির আধিকারিকরা। পাশাপাশি পছন্দমত স্কুল বাছাই করার পর তার কিছুদিনের মধ্যেই এসএসসি তাদের সুপারিশ পত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার অনলাইন মারফত প্রার্থীদের দিয়ে দেবে। শুধু তাই নয় রেকমেন্ডেশন লেটার পাওয়ার পর প্রার্থীরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মারফত অনলাইনে তাদের নিয়োগ পত্র দেখতে পাবে। অন্তত এমনটাই খবর এসএসসি সূত্রে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইন বদল হওয়ার পর এখন স্কুল সার্ভিস কমিশন রিকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র দিলেও নিয়োগ পত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে এসএসসি তরফে রেকমেন্ডেশন লেটার পাওয়ার পরপরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেই অনলাইনেই নিয়োগপত্র আপলোড করে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে প্রত্যেকটি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক কে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর সেক্ষেত্রে স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরাই সফল প্রার্থীদের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়োগপত্র দিয়ে দিতে পারেন। যদিও প্রার্থীদেরকে স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় তাদের সমস্ত নথি পত্র জমা দিতে হবে। তাদের যাবতীয় নথিপত্র নির্দিষ্ট স্কুলের জামা পরার পর সেই নথিপত্রগুলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদে আসবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেই নথিগুলি আবার ভেরিফিকেশন করবে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে যদি আসল তথ্যের কোন গরমিল আছে নাকি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেটাই ভেরিফিকেশন করে দেখবে বলেই সূত্রের খবর।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতি আনতেই অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি নিয়োগ পদ্ধতিতে একাধিক সরলীকরণ করা হয়েছে বলেই দাবি এসএসসির আধিকারিকদের। যদিও এই বিষয় নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোন আধিকারিক বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোন আধিকারিক আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিতে চাইনি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Teacher