হোম /খবর /কলকাতা /
তুলির টানে রূপ পাচ্ছে ধনদেবী, চাহিদা তুঙ্গে ছাঁচের লক্ষীর

তুলির টানে রূপ পাচ্ছে ধনদেবী, চাহিদা তুঙ্গে ছাঁচের লক্ষীর

দুর্গা পুজোর পরে ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনার সময়

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: দুর্গা পুজো হবে কি না, সন্দিহান ছিল গোটা বাংলা। নানান বিধিনিষেধ পার করে সবে সম্পন্ন হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এবার ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনার সময়। এখানে বারোয়ারি পূজার দাপট নেই। বাড়িতেই লক্ষীর আরাধনায় ব্রতী হয় বাঙালি। পটের লক্ষী, ছাঁচের লক্ষী,কাঠামোর লক্ষী ঠাকুর... যাঁর যেমন সামর্থ্য তেমন ঠাকুর ঘরে এনে পুজো করেন। মূলত পট ও ছাঁচের ঠাকুরের চাহিদাই থাকে বেশি।

চতুর্থী থেকে ষষ্ঠীর মধ্যে দূর্গা ঠাকুর পালদের ঘর থেকে বের হলেই গতি আসে লক্ষী ঠাকুর বানানোয়। দত্তপুকুরের পাল পাড়ায় সারা বছর ধরে চলে  ঠাকুর তৈরির কাজ। এবছর করোনা অতিমারীর জেরে,  সারা বছরের ঠাকুর তৈরির কাজ মার খেয়েছে মার্চ মাসের পর থেকেই।  এখন শয়ে শয়ে লক্ষী ঠাকুর তেরি হচ্ছে সত্য পাল, হরিদাস পালের কারখানায়। ঘরের বারান্দা থেকে বাড়ির ছাদ সর্বত্র লক্ষী মূর্তির ছাড়াছড়ি। কোনওটার গায়ে এক প্রলেপ রং লেগেছে, কোনওটা এখনও কাঁচা। সত্য পালের কথায়, '' দূর্গা পূজা হচ্ছে এটা পরিস্কার হওয়ার পর থেকেই কাছে পিঠের খরিদারদের অর্ডার আসতে শুরু করে। দূরের খরিদার এবার তেমন একটা নেই। ট্রেন বন্ধ। বাসে ভিড়। তাই খরিদার কম।''

তাহলে কি লক্ষী ঠাকুরের চাহিদা নেই ? সত্য পালের জবাব, '' এবারও আগের বারের কাছাকাছি চাহিদা আছে। কিন্তু লকডাউনের সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পুঁজিতে টান রয়েছে। তাই ১৫ টা লেবারের বদলে ৮ জন কে দিয়ে কাজ করছি। আগের বছর ৮ হাজারের মত ঠাকুর তৈরি করেছিলাম আর এবার হাজার চারেক ঠাকুর বানাচ্ছি।''

একই কথা হরিদাস পালের। তিনি জানান, করোনা আর আমফান ঝড়ে  পালেদের কাজের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ,  সরকারি কোনও সাহায্য তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। কারখানায় বসে লক্ষীর চোখে তুলির টান দিতে দিতে ঠাকুর তৈরির কারিগড় খোকন ঘড়াইয়ের দাবি, '' এ'বছরটা সত্যিই বড্ড খারাপ গেল।গাড়ি করে ঠাকুর এখন যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আগের মত খরিদ্দার কই?''

RAJARSHI ROY

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Lakshmi Puja 2020