#কলকাতা: ভেঙে ফেলা হবে কি গোটা পোস্তা উড়ালপুল? সম্প্রতি নিজেদের রিপোর্টে এমনই সুপারিশ করেছে খড়গপুর আইআইটি ও রাইটস। সূত্রের খবর, দুই সংস্থার রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দু’কিলোমিটারের সামান্য বেশি ওই ফ্লাইওভারের নকশা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে। তাতেই ওই উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
৩১ মার্চ, ২০১৬
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর কারণ খতিয়ে দেখতে রাইটস ও খড়গপুর আইআইটি-কে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। ১০ অগাস্ট রাজ্যকে দেওয়া রাইটস ও খড়গপুর আইআইটি-র রিপোর্টে বেরিয়ে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।- উড়ালপুলের নকশায় ত্রুটি রয়েছে
- তার কাঠামো তৈরিতে গাফিলতি রয়েছে - উড়ালপুলের ঝালাইয়ে গোলমাল রয়েছে - ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী - তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করা হয়এরপরই প্রশ্ন ওঠে পোস্তার এই অর্ধভগ্ন উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী? তার কোনও উল্লেখ ছিল না রিপোর্টে। রাজ্য তাই দুই সংস্থার কাছে রিপোর্টের আরও ব্যাখ্যা চায়। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দুই সংস্থাই গোটা উড়ালপুলটিকে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভেঙে ফেলার পিছনে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তা হল, উড়ালপুলের যে অংশ ভেঙে গিয়েছে, তার সঙ্গে বাকি অংশও যান চলাচলের উপযুক্ত নয়। ফ্লাইওভার ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হোক। কিন্তু, আদৌ তা কি সম্ভব? ২০০৮ সালে, বাম আমলে কেন্দ্রীয় সরকারের জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অধীনে ওই উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়। এখন তা ভেঙে ফেলতে হলে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে রাজ্যকে।একনজরে পোস্তা উড়ালপুল- ২০০৯ সালে উড়ালপুল নির্মাণ করতে শুরু করে আইভিআরসিএল - দৈর্ঘ্যে তা মোট ২.২ কিলোমিটার - মোট ১৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প - তার ৬০% কাজ হয়ে যায় - বাকি ৪০% কাজ শেষের আগেই তা ভেঙে পড়ে
রাজ্যের আশঙ্কা, উড়ালপুল ভেঙে ফেললে আশপাশের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেকারণেই বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে খড়গপুর আইআইটি ও রাইটসকে। সেই চূড়ান্ত রিপোর্টেই নির্ভর করছে পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Posta Flyover, Posta Flyover Collapse, Posta Flyover Report