Parnashree Murder Case : ড্রইংরুমে চা-কেক খেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খুন! পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের রহস্য মৃত্যুতে অবশেষে কিনারা...

Last Updated:

Parnashree Murder Case : বেহালার পর্ণশ্রীতে (Behala Murder) কীভাবে খুন করা হয়েছে মা-ছেলেকে? জেরার মুখে স্বীকার ধৃতদের।

#কলকাতা : আশঙ্কাই সত্যি হল, বেহালার পর্ণশ্রী খুনে (Parnashree Murder Case) গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হল পরিবারেরই ২ সদস্য। সুস্মিতা মণ্ডল ও তার ছেলেকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সু্স্মিতার মাসতুতো দুই ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাসকে (Parnashree Murder Case)। ধৃতদের স্বীকারোক্তিতে জানা গিয়েছে লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে সঞ্জয়ের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলের বিয়ে হয়। সেই সময় প্রচুর টাকা ধার হয়। একমাস আগে বোন সুস্মিতাকে ফোন করে পাঁচ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সুস্মিতা দিতে পারেননি। তবে সঞ্জয় জানতেন সুস্মিতার (Parnashree Murder Case) গয়না কেনার ঝোক আছে। তিনি ভাবেন সুস্মিতার বাড়িতে গয়না থাকতে পারে। সেই গয়না লুঠের উদ্দ্যেশে পরিকল্পনা করে সঞ্জয়।
advertisement
advertisement
ঘটনার দিন সকালে বজবজ এলাকার নিজের বাড়ি থেকে বাইকে প্রথমে তারাতলা আসেন সঞ্জয়। সেখানে ভাই সন্দীপকে সঙ্গে নেয়। এরপর পর্ণশ্রীর সুস্মিতার ফ্ল্যাট যান দুজন।মাস্ক পরেছিলেন দুজনে। তাই প্রথমে দরজা খোলেননি সুস্মিতা। পরে দু’জনে মাস্ক খুলতেই দরজা খুলে দেন সুস্মিতা। এরপর দু’জনে ভিতরে ঢুকে পড়েন।
advertisement
ড্রইংরুমে বসে চা ও কেক খান। এরপর কথা বলতে বলতেই সঞ্জয় হঠাৎ উঠে ধারাল ছুরি দিয়ে সুস্মিতা গলায় প্রথম আঘাত করে। সুস্মিতা দৌড়ে বেডরুমে পালায়। পিছনে ছুটে যায় সঞ্জয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ভাবে ছুরি চালাতে থাকে সুস্মিতার ওপর।
তবে প্রথম ছুরি চালানোর আগে সঞ্জয়কে তার ছোট ভাই সন্দীপ চোখের ইশারা করে নিষেধ করেছিলেন বলে জেরাতে বলেন সন্দীপ।সুস্মিতাকে যখন তার ভাই মারছে তখন পাশের ঘর থেকে সুস্মিতার ছেলে চলে আসে। সঞ্জয় সন্দীপকে দেখে ফেলে। সেই জায়গা থেকে ভাগ্নেকেও খুন করে সঞ্জয়।
advertisement
খুনের পর বেসিন ও সিঙ্কে হাত ধুয়ে দুজনে প্রায় ৪৫ মিনিট ছিল ফ্ল্যাটে। এমনকি রাতে যখন অন্যান্য আত্মীয়রা সুস্মিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে আসেন, এই দুই ভাইও এসেছিলেন। খুনের আগে সঞ্জয় এলাকায় এসে দুতিন দিন ধরে রেইকি করেছিল আশেপাশে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ আছে কিনা। এমনকি সে নিজে যেহেতু সিসিটিভির কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি জানতেন সুস্মিতাদের ফ্ল্যাটের সিসিটিভিগুলি কাজ করছে না। সেই বিষয়টিকেও কাজে লাগায় সঞ্জয়।
advertisement
খুনের পর সুস্মিতা ও তপন বাবুর আত্মীয় ও ঘনিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। একের পর এক আত্নীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুলিস জানতে পারে তারা সকলেই সুস্মিতার বাড়ির কাছেই থাকে। এমনকি প্রত্যেকের সঙ্গেই খুব নিবিড় সম্পর্ক। ফোন করা, বাড়িতে যাতায়াত লেগেই থাকত। এরই মাঝে পুলিশ এটাও জানতে পারে সুস্মিতা এক মাসি তার ছেলেরা বজবজে থাকে। এদের সাথে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে।
advertisement
সঞ্জয় শেষ এসেছিলেন একমাস আগে। সেই সময় বোনের কাছে টাকা ধার চেয়েছিলেন। এই বিষয়টি যেমন জানতে পারেন গোয়েন্দারা, তেমন এটাও জানতে পারেন ঋণের বোঝায় জর্জরিত সঞ্জয়। এরপর তাকে জেরা করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। গতকাল বিকেলে লালবাজারে তুলে আনা হয়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ জারি রাখা হয়।
উল্লেখ্য এই পর্বে পুলিশ সঞ্জয়ের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের দাগও দেখতে পায়। সেগুলি সন্দেহ আরও বাড়ায়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সঞ্জয়। ভাই সন্দীপকেও এদিন বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেও পুলিসের সামনে কেঁদে ফেলে।
advertisement
অমিত সরকার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Parnashree Murder Case : ড্রইংরুমে চা-কেক খেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খুন! পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের রহস্য মৃত্যুতে অবশেষে কিনারা...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement