East West Corridor|| ২ বছর ধরে চলছে সমস্যা, রাজ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ করতে চায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ

Last Updated:

NHAI want to complete East West Corridor: রাজ্যে দ্রুত জাতীয় সড়কের ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ। গত দু'বছর ধরে এই প্রকল্প ঘিরে চলছে টানাটানি।

#কলকাতা: রাজ্যে দ্রুত জাতীয় সড়কের ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ। গত দু'বছর ধরে এই প্রকল্প ঘিরে চলছে টানাটানি। প্রচেষ্টা হিসাবে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন এনএইচএআই'য়ের রাজ্যের জেনারেল ম্যানেজার আরপি সিং। এই চিঠির সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চলা জনস্বার্থ মামলায় অর্ন্তবর্তী নির্দেশের প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছিল। এরপরই রাজ্যের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ শুরু হয়ে যায়। জমি-সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে আটকে ছিল, তা সমাধানের কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের।
ঘোষপুকুর-ধূপগুড়ির মধ্যে কাজ আটকে যায়। জমি অধিগ্রহণ করে কাজ করতে গিয়ে দেখা দেয় আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা। রাজ্য সরকার আশ্বস্ত করেছে এই সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে মাঝেমধ্যেই কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। তাই ফের রাজ্যের সাহায্য চাইছেন তারা। জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ চার লেনের সড়কের জমি পেতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সবরকম সাহায্য করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে একাধিক লগ্নির প্রস্তাব, আসছে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা
যদিও জমির অভাবে একসময় রাজ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে করিডরের কাজ। জমির অভাবে কাজ আটকে যায় রাজ্যে। শিলচর থেকে পোরবন্দর পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর বানানো হচ্ছে। রাজ্যে এই প্রকল্পের বাজেট ১৮০০ কোটি টাকা। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় জমির অভাবে আটকে ছিল কাজ। এই প্রকল্প দুটি ভাগে বিভক্ত।প্রথম অংশ ধূপগুড়ি থেকে সালসাবাড়ি। এই অংশের মোট দুরত্ব ৭২ কিমি।তার মধ্যে ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার দুরত্ব ২৯ কিমি। এই অংশে চলছে একদিকে জমি অধিগ্রহণ ও DPR বানানোর কাজ। অপর অংশ হল ধূপগুড়ি বাইপাস তৈরি।
advertisement
advertisement
এখানে সমীক্ষার কাজের সময় থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ ফালাকাটা থেকে সালসাবাড়ি। এই অংশের দুরত্ব হচ্ছে ৪৩ কিলোমিটার। জানুয়ারি ২০১৯ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জমির অভাবে কাজ না এগোনোয় ঠিকাদার সংস্থা কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল।জেলাশাসকদের একাধিক বার জমির বিষয়ে বলা হয়েছিল। সমস্যা না মেটায় কাজ বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন হয়েছিল এই প্রকল্পের। চার লেনের পূর্ব–পশ্চিম সড়ক তৈরিতে জমি জট কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে সড়ক তৈরিতে নজরদারির জন্য হাইকোর্ট একজন স্পেশ্যাল অফিসারও নিয়োগ করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার দাবি! যন্তরমন্তরে ধর্ণা-বিক্ষোভ
আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা মিলিয়ে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক তৈরি হবে। যে অংশের জমি মেলেনি, সেখানকার জমিদাতাদের একাংশ ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন। কিন্তু অন্য অংশ ক্ষতিপূরণের হার বৃদ্ধির দাবি তুলে মামলা করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের হার নিয়ে বিবাদ চলতে থাকলেও জমি পেতে আইনত বাধা আসা উচিত নয় বলে নবান্নে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি এবং ফালাটাকা থেকে সলসলাবাড়ি—এই দুই ভাগে কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তারপর প্রায় আট বছর কেটে গেলেও কোনও অংশের কাজই শেষ হয়নি। জমি জটে তা থমকে গিয়েছে।
advertisement
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ এগোবে বলেই মনে করছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার আরপি সিং জানিয়েছেন, 'এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্যে রাজ্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সাহায্য করতে বলেছেন।' সব মিলিয়ে রাজ্যের উদ্যোগে এগোচ্ছে উত্তরের রাস্তা।
ABIR GHOSHAL
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
East West Corridor|| ২ বছর ধরে চলছে সমস্যা, রাজ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ করতে চায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement