#কলকাতা: ইয়াসের পর নিজে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। দিঘার উন্নয়নের হাল নিয়ে যে তিনি অতি ক্ষুব্ধ তিনি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। তদন্তের কথাও বলেছেন তিনি। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে কথায় কথায় মমতা বলেন,"টিম লিডার ঠিক না থাকলে অনেক কাজ ঠিকঠাক হয় না। অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না টিম লিডার ঠিক না থাকলে।" আর এখান থেকেই প্রশ্ন, মমতার নিশানায় কি শিশির অধিকারীও? কারণ এক্ষেত্রে তো লিডারশিপ ছিল তাঁরই হাতে, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
মমতার সাফ কথা, দিঘায় সৌন্দার্যায়নের কাজ যারা (যে ঠিকাদার সংস্থা) করেছিলো তারা ঠিকমতো কাজ করেনি। এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এখানেই শেষ নয় দিঘায় সেচ দফতরের ব্রীজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখান থেকেই আরও একটি জল্পনার জন্ম নিচ্ছে। রাজনীতির ব্যাপারীরা বলছেন, মমতা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন গোটা অধিকারী পরিবারের উপরেই ক্ষুব্ধ তিনি।
শুভেন্দু অবশ্য কোনও অভিযোগেই আমল দিতে চান না। তাঁর কথায়, আমাকে মন্ত্রী করা হয়েছে ২০১৯ সালের জুন-জুলাইয়ে। ২০২০-র ২২ মার্চ জনতা কার্ফু, ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। আমি বসার এক মাস পরে অর্থ দফতরের সার্কুলার নন প্ল্যানে মন্ত্রী ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবে। প্ল্যানে ১ কোটির বেশি ক্ষমতা নেই।তিনি দাবি করেন, কোনও ফাইলে শুভেন্দু অধিকারী -র সই নেই। সই আছে নবীন প্রকাশের, এইচ কে দ্বিবেদীর, অমিত মিত্রের। শুভেন্দু অধিকারী কেন, কোনও মন্ত্রীকে এই মুখ্যমন্ত্রী কাজ করতে দেন না।
প্রসঙ্গত নির্বাচনের আগেই শিশির অধিকারীকে নিস্ক্রিয়তার কারণে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে সরানো হয়। প্রথমে এই সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয় তরুণ জানাকে। পরে ভোট মিটতে দায়িত্ব নেন জ্যোতির্ময় কর। তবে ইয়াসের পর গোটা বিষয়টির তদারকি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ছাড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলছেন, এমন ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে বাঁধগুলো যাতে অন্তত দশ বছরে কিছু না হয়। যারা কাজ করবে তাদের সাথে সেই ভাবেই কথা বলে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে নিন।
দিঘা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেও বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি অফিসার বা কর্মীরা কেউ খারাপ নয়। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, এই কথায় উহ্য অংশেই রয়েছে তদারকির দায়িত্বে থাকাদের ভর্ৎসনা। এবং দায়িত্বে ছিলেন অধিকারীরাই। মমতা এই বিষয়ে এরপর কি পদক্ষেপ নেন, তা জানতে মরিয়া রাজনৈতিক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mamata Banerjee, Mamata Banerjee VS Sisir Adhikari, Sisir adhikari