Madan Mitra: 'আর কিছু চাই না, ঠাকুর শুধু সুস্থ করে দেও!' শরীর ভেঙে অর্ধেক, মদনকে চেনাই দায়

Last Updated:

বুধবারের ফেসবুক লাইভে সেই হতাশাই ধরা পড়ল মদনের গলায়৷ নিজেই জানালেন, এখন প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসকের কাছে ছোটাই তাঁর রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

ফেসবুক লাইভে যন্ত্রণার কথা বললেন মদন৷
ফেসবুক লাইভে যন্ত্রণার কথা বললেন মদন৷
কলকাতা: মানুষ তাঁকে চিনতেন কালারফুল বলে৷ সমাজমাধ্যমে তিনি পরিচিত এমএম হিসেবে৷ অথচ সেই মদন মিত্রকে এখন চেনা দায়৷ শরীর ভেঙে যেন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে৷ বুধবার দীর্ঘদিন বাদে সমাজমাধ্যমে লাইভে আসেন মদন৷ আর সেখানেই কাতর কণ্ঠে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আর কিছু চাই না৷ যদি কোনওদিন এক ইঞ্চিও ভাল কাজ করে থাকি তাহলে যেন ভগবান আমাকে সুস্থ করে দেন৷’
অনেক দিন ধরেই অসুস্থ মদন মিত্র৷ মাঝে এসএসকেএম হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি৷ হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীনই কাঁধে চোট পান মদন৷ কাঁধে অস্ত্রোপচারও করতে হয়৷ এর পর থেকেই অনেকটা কাবু হয়ে যান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক৷ বাড়িতে ফিরলেও আগের মতো আর চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেননি তিনি৷ ফিরতে পারেননি চেনা মেজাজে৷ বরং অন্তরালেই চলে গিয়েছেন মদন মিত্র৷ নিজের বিধানসভা এলাকা কামারহাটিতেও আর যেতে পারছেন না তিনি৷
advertisement
advertisement
বুধবারের ফেসবুক লাইভে সেই হতাশাই ধরা পড়ল মদনের গলায়৷ নিজেই জানালেন, এখন প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসকের কাছে ছোটাই তাঁর রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এ দিনও মদনের কথা কিছুটা অস্পষ্ট, জড়ানো শুনিয়েছে৷ হতাশার সুরে কামারহাটির বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘উকিলবাবু সকালবেলা মক্কেলের হয়ে মামলা লড়তে যান, ব্যবসায়ী যায় ব্যবসা করতে, বাচ্চারা যায় স্কুলে, আর আমি রোজ ঘুম থেকে উঠে ডাক্তারের কাছে দৌড়চ্ছি ৷’
advertisement
শারীরিক একের পর এক সমস্যায় জেরবার মদনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে৷ প্রচুর কষ্ট হচ্ছে প্রচুর৷’ মদন আরও জানিয়েছেন, এখনও তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন৷ কাতর কণ্ঠে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছি যদি কখনও কোনওদিন একটা ইঞ্চিও কোনও ভাল কাজ করে থাকি তার পরিবর্তে অন্য কিছু চাই না, শুধু শরীরটা ঠিক করে দেও৷ ছোট থেকে সবাই বলত শরীর ঠিক আছে তো? শরীর ঠিক থাকলেই সব ঠিক৷ তখন বুঝতাম না, আজ এর অর্থ বুঝতে পারছি৷’
advertisement
মদন মিত্র মানেই ব্যতিক্রমী৷ কখনও তাঁকে গায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছে, কখনও আবার বড় পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন৷ বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হোক অথবা এসএসকেএমে দুর্ঘটনায় আহত যুবককে ভর্তি করতে না পেরে সরব হওয়া, মদন সব সময় শিরোণামেই থাকতেন৷ যতই বকাঝকা করুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মদনকে কালারফুল থাকারই পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ মদন আবার আগের মতো কালারফুল হয়ে স্বমহিমায় ফিরুন, এখন এটাই চাইছেন তাঁর অনুগামী এবং ভক্তরা৷
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Madan Mitra: 'আর কিছু চাই না, ঠাকুর শুধু সুস্থ করে দেও!' শরীর ভেঙে অর্ধেক, মদনকে চেনাই দায়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement