মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘জোয়ানের হজমি’ পাঠাচ্ছেন কুণাল ঘোষ !
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
সংখ্যাতত্ত্বের লড়াই ছেড়ে রাজনীতির বক্তব্যে আসুক বলছে তৃণমূল।
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: পুজোর মুখে ফের বোমা ফাটিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন। আর মিঠুন চক্রবর্তীর এই সংখ্যাতত্ত্বের বিষয়কে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য নেতারা যে অপদার্থ। সেই কারণে অতিথি শিল্পী হিসাবে মিঠুন চক্রবর্তী এসেছেন। মিঠুন দা হার হজম করুন। না হলে বলুন আমরা জোয়ানের হজমি পাঠাব। আর মিঠুন দা 'দিওয়ার' মনে রাখুন, হামারে পাস দিদি হ্যায়। ফলে ১০,১৩,২১,৪০ বিধায়ক আছে বলে লাভ নেই।’’
ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। গা গরম করা ছবির সংলাপ আউড়ে চাঙ্গা করেছিলেন বাংলা বিজেপিকে। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর বাংলার রাজনীতি থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেছেন 'ফাটাকেষ্ট' মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মিঠুন চক্রবর্তীকে পরমাণু বোমার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিঠুনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তী কমপ্ল্যান খেয়েছেন। বলছেন 'দেখো মামি বাড়ছি আমি।
advertisement
advertisement
ওনাকে এক বছর ধরে কে আসতে বারণ করেছিল ? গোখরো, কেউটে বলে আসলে বেরোলেন লাউ ডগা। তিনি রাজনীতিতে ফ্লপ। বিশ্বাসঘাতক। ইডির ভয়ে পালিয়ে গিয়ে, তিনি বিজেপির হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মারতে এসেছিলেন। শুনলাম মিঠুন দা কান্নাকাটি করেছে। বলেছেন দেখতে। যদি কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে, তাহলে ভাই বোনের সম্পর্ক নষ্ট করলেন কেন? মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা উচিত। দয়া করে ডায়লগ দিতে যাবেন না। ওনার রাজনৈতিক বিশ্বাস যোগ্যতা নেই৷'
advertisement
কলকাতায় পা রেখেছেন মিঠুন। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরেও গিয়েছেন তিনি। সেখানে সুকান্তর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। মিঠুন জানিয়েছেন, বিজেপি-র সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করবেন। দল যে নির্দেশ দেবে, যে দায়িত্ব দেবে পালন করবেন নিষ্ঠা ভরে। তাঁকে কী দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা যদিও খোলসা করেননি মিঠুন। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে তাঁকে ব্যবহার করা হবে আগামী দিনে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও, এই কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘‘এখন তো ভোট নেই। মিঠুনের কোনও প্রভাব নেই ৷ যে মিঠুনকে মানুষ পছন্দ করত। সেই মিঠুন আর নেই ৷ এক সময়ে উপনির্বাচনে রমলা চক্রবর্তীর হয়ে প্রচার করেছিল। আমি সুজিতের হয়ে প্রচার করেছিলাম। ও হেরে গেল। সুভাষ চক্রবর্তীর জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওকে রাজ্যসভায় পাঠাল। তারপর ইডি চাপ দিতে চলে গেল। আসলে ওঁর জনভিত্তি নেই।’’
advertisement
সুকান্তর কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘‘সামনের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন তার পরের বছর। মিঠুনের কোনও প্রভাব নেই। বলিউডে প্রভাব হারিয়ে যেমন উটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, হোটেল খুলেছিলেন, ওঁর সেসবই করা উচিত। যাঁদের দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই করার ক্ষমতা নেই, এক দল থেকে সব নেওয়ার পর যাঁরা দল পরিবর্তন করেন, তাঁরা বাংলায় কী পরিবর্তন করবেন! বাংলার মানুষ এ সব পছন্দ করেন না।’’
advertisement
মিঠুনকে তাই গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। ২০২১-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন। তত দিনে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পর যাবতীয় জল্পনাকে সত্য প্রমাণিত করে ২০২১-এর ২৭ মার্চ বিজেপি-তে যোগদান করেন মিঠুন। এর পর একাধিক সময় বাংলায় গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে কলকাতার ব্রিগেডের সভা থেকে গা গরম করা ভাষণও দিতে দেখা যায় তাঁকে। বিখ্যাত সিনেমার সংলাপ 'আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি', 'মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে', এমন সব মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান তিনি।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 27, 2022 5:16 PM IST