#কলকাতা: বেলা বারোটা থেকে স্ট্র্যান্ড রোডের জেশপ বিল্ডিংয়ে রীতিমতো শোরগোল অবস্থা।চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এবং সমকাজে সমবেতনের দাবিতে ২৭ জন প্রার্থী দীর্ঘক্ষণ বিল্ডিংএর মূল প্রবেশদ্বারে বসে পড়ে।ব্যাস রীতিমতো শোরগোল বেঁধে যায় অফিস চত্বরে। ২০১৯ সালে এই সমস্ত প্রার্থীদের কৃষক বন্ধু সহায়ক হিসাবে সরকার নিয়োগ করেছিল।এদের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক ২৮৬.৫০টাকা হিসাবে সরকার দেয়। ১৬ অক্টোবর ২০২০ সালে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর, এই সমস্ত কর্মবন্ধু ও সহায়কদের চাকরির ৬০ বছর এবং সমকাজে সমবেতনের ঘোষণা করে।
তারপরই হুড়োহুড়ি করে সবাই তাদের নথিপত্র জমা দেয় দফতরে। এই কৃষক বন্ধুদের সংগঠনের সম্পাদক রাহুল কর্মকার তিনি দাবি করেন, অন্যান্য দফতরের সহায়ক বন্ধুদের নির্দিষ্ট কাগজপত্র পৌঁছে গেছে। কিন্তু এখনও অবধি কৃষিবন্ধু সহায়কদের কোনভাবে নিয়োগপত্র পৌঁছায়নি। সূত্র মারফত জানা গেছে,এদেরকে কম্পিউটারের ডাটা এন্ট্রি ও ডাটা ভেরিফিকেশনের জন্য নিয়োগের কথা ছিল। এঁদের দাবি কৃষকদের ক্রেডিট কার্ড,মারা গেলে যে তদন্ত করা, কৃষক বিমা থেকে আরম্ভ করে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী সমস্ত কাজ এঁদেরকে দিয়ে করানো হয়। কিন্তু ওঁরা নাকি সম শ্রমের, সম বেতন পাচ্ছেন না। ১২ই ফেব্রুয়ারি, জেশপ বিল্ডিংএ এসে এই কৃষি বন্ধু সহায়করা আন্দোলন করেছিল। তাতে এদেরকে দফতরের তরফ থেকে আশ্বাস দিয়ে ফেরত দিয়েছিল দফতর।
তারপরে বিধানসভা নির্বাচনের ডামাডোল পড়ে যায়। নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর,আজও পর্যন্ত দাবি না মেটায়, আবার প্রত্যেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হয় জেসপ বিল্ডিংএ। দীর্ঘ দু'ঘণ্টার পর কৃষি দফতরের ডিরেক্টর ওই প্রার্থীদের, প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়ে দেন প্রত্যেকের যাবতীয় নথি নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রার্থীদের দাবি নবান্নে গেলে কৃষি দফতরের সচিব তাদের সহযোগিতাও করেন না। তাদের দাবি এখনো বুঝতে পারছেন না, কি হতে চলেছে! এই বিষয়ে কৃষি দফতরের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলেনি। এবং কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
SHANKU SANTRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Employee