#কলকাতা: জয় বাবা ফেলুনাথে দূরবীনে চোখ রেখে কাশির দশাশ্বমেধ ঘাটে মছলি বাবাকে মেপে নিয়েছিলেন ফেলুদা। সত্যজিৎ রায়ের প্রদোষ মিত্রের অনুকরণেই এবার কলকাতায় চাইনিজ মাঞ্জা ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করতে রাস্তায় নামল কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ পেট্রোলিং, ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি সবই চলছিল। কিন্তু তাতেও আটকানো যাচ্ছিল না প্রাণঘাতী চাইনিজ মাঞ্জা সুতোর ব্যবহার। বৃহস্পতিবার থেকে তাই নতুন কৌশল কলকাতা পুলিশের। এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার ও মা ফ্লাইওভারের আশেপাশে বহুতলের ছাদ থেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো শুরু করলেন বেনিয়াপুকুর, কড়েয়া, তপসিয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। খালি চোখে যা এড়িয়ে যাচ্ছিল, বাইনোকুলার ব্যবহারের মাধ্যমে সেই সব এলাকা এবার কলকাতা পুলিশের নজরবন্দি।
তোপসিয়া, পার্ক সার্কাস অঞ্চলে কোথাও চিনা মাঞ্জা সুতোর ব্যবহার দূরবীনের লেন্সের ধরা পড়লেই তৎক্ষণাৎ খবর পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকে খবর যাচ্ছে পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যানে। বহুতলের ছাদে বাইনোকুলারে চোখ রেখে নজরদারি চালাতে থাকা থাকা পুলিশকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পেট্রোলিং ভ্যান পৌঁছে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে চিনা মাঞ্জার ব্যবহারকারীকে।
সম্প্রতি শহরে ব্যবহার বেড়েছে চিনা মাঞ্জার। ঘুড়ি ওড়ানোর ক্ষেত্রে পার্ক সার্কাস, তপসিয়া অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকায় চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। মা উড়ালপুল ও এজিসি বোস রোড ফ্লাইওভারে চিনা মাঞ্জায় গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মহম্মদ ফারুকুজ্জামান বলছিলেন, "বাইনোকুলারের মাধ্যমে নজরদারিতে দোষীদের চিহ্নিত করতে সুবিধে হবে। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে দূরবীনে নজরদারি।" বেনিয়াপুকুর থানার অফিসার ইন-চার্জ অলোক সরকার জানান, "দোষীদের চিহ্নিত করতে বাইনোকুলারের পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার চলবে।"
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Binocular, Chinese Manja, Kolkata Police