Kolkata Hotel Fire Incident: বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু দুই শিশু-সহ ১৪ জনের, হোটেলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কি আদৌ যথাযথ ছিল?

Last Updated:

Kolkata Burrabazar Hotel Fire News Updates: বড়বাজারের ঘটনার থেকেই স্পষ্ট যে ছোট-বড় সব হোটেলেই অগ্নি নির্বাপণে বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন, ধোঁয়া শনাক্তকরণের ব্যবস্থা, অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, জরুরি প্রস্থান পথ নিশ্চিত করা এবং অগ্নি নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নের মতো বিষয়গুলি।

বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু দুই শিশু-সহ ১৪ জনের
বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু দুই শিশু-সহ ১৪ জনের
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির এক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। তাঁদের মধ্যে আনন্দ পাসোয়ান নামে এক জন আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছে দুই শিশুও।
এই ঘটনার থেকেই স্পষ্ট যে ছোট-বড় সব হোটেলেই অগ্নি নির্বাপণে বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন, ধোঁয়া শনাক্তকরণের ব্যবস্থা, অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, জরুরি প্রস্থান পথ নিশ্চিত করা এবং অগ্নি নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নের মতো বিষয়গুলি।
অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি হল-
advertisement
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: বিভিন্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা উচিত, যেমন – রান্নাঘর, লবি, করিডর, এবং হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে।
advertisement
ধোঁয়া শনাক্তকরণ ব্যবস্থা: ধোঁয়া শনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন স্থানে স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা উচিত, যা অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক অবস্থায় সতর্ক করতে পারে।
অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ: হোটেলের কর্মীদের অগ্নিকাণ্ডের সময় কী করতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
জরুরি প্রস্থান পথ: অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত প্রস্থান করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক জরুরি প্রস্থান পথ নিশ্চিত করতে হবে।
advertisement
অগ্নি নিরাপত্তা নীতি: হোটেলে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করতে হবে, যা কর্মীদের অগ্নিকাণ্ডের সময় কী করতে হবে, তা জানাতে সাহায্য করবে।
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের পরিচালনা: কর্মীদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার এবং পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
advertisement
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ: নিয়মিতভাবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত, যাতে তা সবসময় কার্যকরী থাকে।
অগ্নিকাণ্ডের সরঞ্জাম: অগ্নিকাণ্ডের সরঞ্জাম, যেমন – ফায়ার কম্বল এবং ফায়ার হোজের মতো সরঞ্জাম স্থাপন করা উচিত। ফায়ার অ্যালার্ম:ফায়ার অ্যালার্ম স্থাপন করে আগুনের প্রাথমিক পর্যায়ে সতর্ক করা উচিত।
advertisement
স্প্রিংকলার সিস্টেম: স্প্রিংকলার সিস্টেম স্থাপন করা হলে, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।
ফায়ার হাইড্রেন্ট: ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হলে, অগ্নিনির্বাপণে জল সরবরাহ করা সহজ হবে।
অগ্নিনির্বাপণের পথ: অগ্নি নির্বাপণের পথ সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত, যাতে কেউ সহজে বেরোতে পারে। অগ্নি নিরাপত্তা পরিদর্শন:নিয়মিতভাবে অগ্নি নিরাপত্তা পরিদর্শন করা উচিত, যাতে কোনও সমস্যা থাকলে তা আগে থেকে চিহ্নিত করা যায়।
advertisement
অগ্নিকাণ্ডের প্রশিক্ষণ: অগ্নিকাণ্ডের সময় কি করতে হয়, তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, যেমন – RACE পদ্ধতি (Rescue, Alert, Confine, Evacuate)।
সুরক্ষার সরঞ্জাম: কর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম, যেমন – শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য মাস্ক এবং সুরক্ষা পোশাক সরবরাহ করা উচিত।
advertisement
অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা: একটি সুস্পষ্ট অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকতে হবে, যা অগ্নিকাণ্ডের সময় কি করতে হবে, তা নির্ধারণ করে।
অগ্নি প্রতিরোধ: দাহ্য পদার্থ, যেমন – কাগজ, কার্ডবোর্ড, এবং অন্যান্য সহজে আগুন ধরানো জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে। এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে, হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং কর্মীদের ও অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Hotel Fire Incident: বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু দুই শিশু-সহ ১৪ জনের, হোটেলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কি আদৌ যথাযথ ছিল?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement