#কলকাতা: করোনা কাল কাটিয়ে স্কুলের দরজায় আনাগোনা শুরু করেছিল হাতে গোনা কয়েকটি দিন, গরমের ছুটির পর সোমবার বা ২৭ জুন ছিল স্কুল যাওয়ার দিন। হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইসাক রোড়ের একটি ঘটনা বদলে দিয়েছে ব্রজমোহন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রদের। পুটিয়ারী ব্রজমোহন তিয়ারী ইন্সটিটিউটের ষষ্ঠ শ্রেণিতে আঠাশ নম্বর রোল ছিল নীতিশ যাদবের। স্কুলে মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত ছিল নীতিশ। স্কুলে অন্যজনদের মত কথাবার্তা বললেও নীতিশ ছিল সবার থেকে আলাদা। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার প্রিয় বিষয় বলতে ইতিহাস ছিল পছন্দের।
রবিবার হরিদেবপুরের বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ঘটনা শুনে এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে নেই তাদের নীতিশ যাদব। তার এক প্রিয় বন্ধুকে নীতিশ বেশ কিছু দিন আগেই বলেছিল স্কুল খুললে আবার দেখা হবে। প্রিয় সেই বন্ধুও বেশ কিছু নোট নেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল, তবে স্কুল খোলার দিনেই যে অকালে প্রাণ চলে গেল তা এখনো ভাবতে পারছে না তার বন্ধুরা।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পাঠালেন ইস্তফাপত্র, হঠাৎ শোরগোল ফেলে দিলেন মুকুল রায়!
অন্য এক বন্ধু বলে, নীতিশ যাদব বলত ও আর্মিতে কাজ করবে, মারা গেছে শুনে আর ভালে লাগছে না। ব্রজমোহন তিওয়ারি ইন্সটিটিউটের ছাত্রের মৃত্যুতে স্কুলের বাইরে কালো বোর্ডে তার জন্য শোকবার্তা জানানো হয় স্কুলের তরফে। দুর্ঘটনার জন্য স্কুলের প্রথমেই হাজিরা নিয়ে শোকজ্ঞাপন করে সোমবার ছুটি দেওয়া হয় স্কুল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তমাল কৃষ্ণ কর নীতিশের ক্লাসে গিয়ে তার সহপাঠীদের বলেন দুর্যোগ থেকে সাবধান হবার কথা।
আরও পড়ুন: রাতে এল ফোন, সকালেই দিল্লি পৌঁছানোর নির্দেশ! সুকান্তকে নিয়ে বিজেপিতে শোরগোল
প্রধান শিক্ষক বলেন, ঝড় বা বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেন। খুব প্রয়োজন না হলে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া যেন কেউ না বাড়ির বাইরে যায় সেই কথাই বলেন। সাংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, করোনার বিধিনিষেধ সব সময় যেন স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হয় ঠিক তেমনই বৃষ্টির সময় দুর্যোগের সময় কি করণীয় তা জানানো হবে। এছাড়াও বলেন নীতিশ যাদব ছিল শান্তপ্রকৃতির মেধাবী ছাত্র। এই ঘটনার পরে স্কুলের মত তার গৃহ শিক্ষিকাও অনেকটাই শোকাহত।
-----সুশোভন ভট্টাচার্যনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata News, West Bengal news