#কলকাতা: ভ্যাকসিন নিয়ে বসে আছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর নেওয়ার লোক নেই। এই ছবি এখন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অথচ একটা সময় এই ভ্যাকসিন নিতেই লাইনের পর লাইনে দীর্ঘক্ষণের প্রতীক্ষা।
বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনে গররাজি কলকাতাবাসী। করোনা ভীতি কমে যাওয়ায় কমেছে ভ্যাকসিনে আগ্রহ।
আরও পড়ুন- হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে দিশেহারা যাত্রীরা! বিহারগামী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেইকলকাতা পুরসভা এলাকায় প্রায় ৯ লক্ষ ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা। অথচ বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৫ শতাংশেরও কম।
বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন সংখ্যা বাড়াতে এবার উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা। বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির বুস্টার ডোজ না নেওয়া থাকলে নাম এবং ফোন নাম্বার সহ তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর সেই নাম গোপন নাম্বারে যোগাযোগ করবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। সচেতনতা বাড়িয়ে ভ্যাকসিনে আগ্রহী করবেন।
এছাড়াও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অ্যাপ্রোচ করা হবে ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যাক্তিদের। প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকের মাধ্যমেও সচেতনতা প্রচার চলবে।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২১ মার্চ ২০২২ থেকে শুরু হয় প্রিকোশনারি ডোজ বা বুষ্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন চার লক্ষ ৩ হাজার ৮৪৪ জন। তার মধ্য ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৪ জন। স্বাস্থ্য কর্মী ৫৩ হাজার ৫৬জন। ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার ৬৫ হাজার ৬৯৪জন।
একটা সময় বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য অনেকেই প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। অনেকই সেই সময় লাইনে দাঁড়িয়ে বুস্টার নিয়েছিলেন। কোথায়, কখন বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে, তা নিয়ে খোঁজ-খবর রাখছিলেন অনেকেই। তবে সেসব এখন অতীত।
আরও পড়ুন- 'দিদিকে বলো'র পর 'এক ডাকে অভিষেক'! জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়আসলে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। ফলে এখন আর কলকাতার বাসিন্দারা বুস্টার নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবুও গত কয়েকদিন দেশজুড়ে অনেকটাই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে আবার। এই সময় দাঁড়িয়ে প্রশাসন বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে। তবে এখন আর সাধারণ মানুষের মধ্যে বুস্টার নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। যা কি না প্রশাসনের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।