Jyotipriya Mallick: নগদেই কোটি কোটি লেন দেন! বাকিবুরের টাকা ‘উপরমহলে’ আর কার কার কাছে যেত?
- Published by:Satabdi Adhikary
- Written by:Arpita Hazra
Last Updated:
ইডি সূত্রে খবর, বালিগঞ্জয়ের এক ডিরেক্টরের বাড়ি ও এজেসি বোস রোডে অফিস তল্লাশি চালিয়ে ব্যাঙ্ক লেনদেনের বেশ কিছু নথি পেয়েছেন ইডির অফিসাররা। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলাতেও এবার ইডির হাতিয়ার প্রভাবশালী তত্ত্ব। জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিকের কাছে যে টাকা আসতো, সেই টাকা অন্যান্য প্রভাবশালীর কাছেও কি যেত? এবার সেই তথ্য খোঁজ পেতে উঠে পড়ে লেগেছে ইডি। এমনকি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের রিমান্ড লেটারে তাঁকে, প্রচণ্ড প্রভাবশালী (highly influential person) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইডি ওই চিঠিতে দাবি করেছে, যে সময় রেশন দুর্নীতি হয়েছিল, সেই সময় খাদ্যমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়৷ তাই তিনি তদন্তে উঠে আসা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন বলে আশঙ্কা থাকছেই৷ এমনকি সূত্রে খবর, শুধু জ্যোতিপ্ৰিয় নন, আর কোন কোন প্রভাবশালীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ,সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুরের কাছ থেকে যে টাকা প্রভাবশালী মন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের কাছে গিয়েছিল, তাতে কোনও ব্যাঙ্ক লেনদেন হয়নি৷ গোটা বিষয়টাই হয়েছে নগদে৷ কোটি কোটি টাকার লেনদেন নগদেই হত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির টাকা এই টাকা কোথায় কীভাবে রাখা হয়েছে বা মানি ট্রেল কীভাবে কোথায় পোঁছেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভাবে মারা যাবেন পুতিন? তার আয়ুই বা আর কতদিন, বলে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা
অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বাকিবুরের কোম্পানির মতোই আরও একটি সংস্থা এবার ইডির নজরে৷ সেই সংস্থার নাম অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড৷ রেশন কাণ্ডে, এই অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডও সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল বলে দাবি ইডির। ইডির অভিযোগ, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে শস্য বাকিবুরের মতোই অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাছেও যেত৷ এই সংস্থার ডিরেক্টর তথা মালিকও রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: আরও ৫ বছরের জন্য ‘ফ্রি’ রেশন! ছত্তীসগড়ে মোদির ঘোষণা কমিশনে তৃণমূল সাংসদ
ইডির দাবি,অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের ডিরেক্টর ৬ জন। তার মধ্যে যার এই কোম্পানি সেই মালিকের উপর নজর রাখা হচ্ছে। ইডির অভিযোগ, ফুড কর্পোরেশ অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে যে গম আসত, তা থেকে একটা অংশ চলে যেত অঙ্কিত মিলে৷ তারপর তা আটা-ময়দার প্যাকেট আকারে ছড়িয়ে যেত বাজারে৷ আর তাতেই কোটি কোটি মুনাফা হত বলে দাবি ইডি।
advertisement
ইডি সূত্রে খবর, বালিগঞ্জয়ের এক ডিরেক্টরের বাড়ি ও এজেসি বোস রোডে অফিস তল্লাশি চালিয়ে ব্যাঙ্ক লেনদেনের বেশ কিছু নথি পেয়েছেন ইডির অফিসাররা। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
ARPITA HAZRA
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷
Location :
West Bengal
First Published :
November 05, 2023 4:05 PM IST