হোম /খবর /কলকাতা /
কেষ্টর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকেই উল্কাগতির উত্থান! এবার গরু-কাণ্ডেও জেরা জীবনকৃষ্ণকে?

Jibankrishna Saha | Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকেই উল্কাগতির উত্থান! গরু পাচার কাণ্ডেও কি এবার জিজ্ঞাসাবাদ জীবনকৃষ্ণ সাহাকে?

অতি অল্প সময়েই রাজনীতিতে অনেকটা উপরের দিকে উঠতে পেরেছিলেন জীবন। এমনকি, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণার আগেই জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেবার অবশ্য তিনি টিকিট পাননি। ২০২১ সালে জীবনকৃষ্ণ সাহা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বড়ঞাঁ বিধানসভা থেকে টিকিট পান। ভোটেও জেতেন।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

মুর্শিদাবাদ: সম্পন্ন পরিবারের সন্তান৷ ২০১৩-১৪ থেকে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সদস্য৷ তারপরে দ্রুত গতিতে উত্থান৷ তবে বোধহয়, যে উল্কাগতিতে উত্থান হয়েছিল, মাটিতে নামতেও বোধহয় সময় লাগল সেই ততটুকুই৷ সোমবার ভোর রাতে তাঁকে গাড়িতে তুলে কলকাতা উড়িয়ে আনলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা৷ কথা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁর বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার৷

কান্দি মহকুমায় আদিবাড়ি৷ তেলকল, চালকল রয়েছে। সঙ্গে রেশনের এমআর ডিস্ট্রিবিউটারশিপ। সূত্রের খবর, সাঁইথিয়া, শান্তিনিকেতন, কান্দি, মুর্শিদাবাদ, প্রত্যেক জায়গাযতেই ভুরি ভুরি সম্পত্তির হদিস মিলেছে জীবনকৃষ্ণের৷ ২০১০ সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান জীবনকৃষ্ণ। ২০১৩-১৪ সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, বীরভূমের সাঁইথিয়ার রাইস মিল সূত্রে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় এই বিধায়কের। আর সেখান থেকেই মোড় ঘুরে যায় জীবনের৷

আরও পড়ুন: জেরার সময় নাকি কেঁদেই ভাসালেন জীবনকৃষ্ণ সাহা! ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে বড়ঞাঁর বিধায়ক

সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল বড়ঞাঁর বিধায়কের৷ এমনকি, টাকার বিনিময়ে মুর্শিদাবাদে গরু পাচারের সেফ প্যাসেজও নাকি তৈরি করে দিতেন তিনি৷ অনুব্রতর কথাতেই নাকি দলের অন্দরে বেড়েছিল তাঁর প্রতিপত্তি৷ সেই কারণে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হলেও, এবার গরু পাচার কাণ্ডেও জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷

জানা গিয়েছে, বাবা বিশ্বনাথ সাহার সঙ্গেও সম্পর্কে দূরত্ব এসেছিল এর মধ্যে। অনেকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই বাপ-ছেলের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। আবার, কেউ কেউ বলেন, ছেলের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া পছন্দ ছিল না বাবা বিশ্বনাথ সাহার৷ সেই কারণেই দূরত্ব।

আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের চিঠি পেয়েই বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন বিজেপি-কে

অতি অল্প সময়েই রাজনীতিতে অনেকটা উপরের দিকে উঠতে পেরেছিলেন জীবন। এমনকি, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণার আগেই জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেবার অবশ্য তিনি টিকিট পাননি। ২০২১ সালে জীবনকৃষ্ণ সাহা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বড়ঞাঁ বিধানসভা থেকে টিকিট পান। ভোটেও জেতেন।

পথচলতি এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘এমএলএ বড় মিথ্যে কথা বলত। যদি থাকে সাঁইথিয়ায়,বলে শিলিগুড়িতে আছি। তবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহারটা ঠিকঠাক করত।’’ এখন সেই বিধায়ককেই ধুলো উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল সিবিআই।

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Anubrat Mondal