#কলকাতা: কোন রুটে, কোন ট্রাম? চিনবেন কিভাবে? সহজ ব্যবস্থা করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম। রুট পিছু রঙ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। পরিবহণ নিগমের কর্তাদের বক্তব্য, এটা গ্লোবাল কোড অফ কন্ডাক্ট। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে ইউরোপীয়ান দেশে রুট বোঝার জন্যে আলাদা আলাদা রঙ করা থাকে।
কলকাতার ট্রামেও এবার নীল-হলুদ-গোলাপি রঙে চেনা যাবে ট্রামের রুট।এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রুটের কোন কোন রঙের ট্রাম। গোলাপি লাইন বা Pink line এই রুটের ট্রামের পরিচয় ২৪/২৯ নাম্বারে। বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জের মধ্যে চলে এই ট্রাম। এই রুটে উল্লেখযোগ্য স্টপেজ হল টলি ক্লাব, ভবানী সিনেমা, টালিগঞ্জ পুলিশ স্টেশন, লেক মার্কেট, দেশপ্রিয় পার্ক, হিন্দুস্থান পার্ক হয়ে গড়িয়াহাট মল। এই সব এলাকা বলে দক্ষিণ কলকাতার আইকনিক রুট বাছাই করা হয়েছে গোলাপি রঙে।হলুদ লাইন বা Yellow Line এই লাইন পরিচিত ২৫ নম্বর রুট হিসাবে। এই রুট ব্যস্ত রুট হিসাবে পরিচিত। গড়িয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি চলে এই ট্রাম। আইস স্কেটিং রিঙ্ক, কোয়েস্ট মল, নোনাপুকুর, রিপন স্ট্রিট, মুসলিম ইন্সটিটিউট, ওয়েলিংটন ক্রসিং, চাঁদনী চক হয়ে এসপ্ল্যানেড অবধি চলে এই ট্রাম। লাল লাইন বা Red Line যা রুট নাম্বার ৫ হিসাবে পরিচিত। এই রুট অন্যতম ব্যস্ততম একটি রুট। যা এসপ্ল্যানেড থেকে বো ব্যারাক ছুঁয়ে বউবাজার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ স্ট্রিট, হাতি বাগান হয়ে শ্যামবাজার অবধি চলে।
এই লাইন প্রধানত বইপাড়া লাইন বলেই পরিচিত হচ্ছে।বেগুনি লাইন বা Violet Line যা রুট নাম্বার হিসাবে ১৮ বলে পরিচিত। এই লাইন বাজার এলাকা ধরে ছুটে চলে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে এই ট্রাম ছোটে চিৎপুর ক্রসিং, এমজি রোড, কলেজ স্ট্রিট, শিয়ালদহ হয়ে যায় রাজাবাজার ডিপো অবধি। এই লাইনে পুরনো মিষ্টির দোকান, সিনেমা হল রয়েছে। সবুজ লাইন বা Green line যা ১১ নম্বর রুট হিসাবে পরিচিত। এই ট্রাম রুট হাওড়া ব্রিজ থেকে শ্যামবাজার অবধি ছুটে চলে। এই ট্রাম রুট ছুঁয়ে যায় চিৎপুর, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিদ্যাসাগর কলেজ, স্কটিশ কলেজ, হাতি বাগান হয়ে শ্যামবাজার অবধি যায়।এছাড়া থাকছে নীল লাইন বা Blue line যা রুট নাম্বার ৩৬ হিসাবে পরিচিত। এই রুট কলকাতার সবচেয়ে দর্শনীয় বা ভালো লাগার রুট। যা এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুর অবধি। এসপ্ল্যানেড থেকে মেয়ো রোড, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম, রেস কোর্স, ফ্যান্সি মার্কেট হয়ে খিদিরপুর অবধি যাবে।