এটাই সবথেকে মোক্ষম জায়গা - কোন জায়গায় বসল এত বড় আঁকার আসর

Last Updated:

বহু পাখি রয়েছে যেগুলো প্রায় অবলুপ্ত। তেমনি ডান্সিং হরিন প্রায় অবলুপ্ত। যদি সত্যিই অবলুপ্ত হয়ে যায়। তখন এই লাইভ ছবি তার অস্তিত্ব তুলে ধরবে মানুষের কাছে। তাই এই কর্মশালা। পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের, লাইভ অঙ্কন কর্মশালা হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়।

'হ্যালো হেরিটেজ অফ কলকাতার'পক্ষ থেকে আলিপুর চিড়িয়া খানায় একটি 'অঙ্কন অনুশীলন 'অনুষ্ঠিত হয়
'হ্যালো হেরিটেজ অফ কলকাতার'পক্ষ থেকে আলিপুর চিড়িয়া খানায় একটি 'অঙ্কন অনুশীলন 'অনুষ্ঠিত হয়
কলকাতা: ‘হ্যালো হেরিটেজ অফ কলকাতার’পক্ষ থেকে আলিপুর চিড়িয়া খানায় একটি ‘অঙ্কন অনুশীলন ‘অনুষ্ঠিত হয়।ওই অনুশীলনে বিভিন্ন রং তুলি দিয়ে আঁকা শিল্পীরা,ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফাররা আসেন।সঙ্গে বেশ কিছু খুদে স্কুল পড়ুয়া শিল্পীরাও এসেছিল। এটাই শিল্পীদের কাছে সবথেকে মোক্ষম জায়গা ছিল বলে দাবি করেন,চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর তাপস দাস।কারণ এক সঙ্গে এত পশু পাখি অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয় বলে।
পৃথিবীর বিরল কিছু পশু পাখি এখানে রয়েছে।যাদের লাইভ ছবি আঁকার সুযোগ পেলেন শিল্পীরা।   চিড়িয়া খানার বিভিন্ন জায়গায় রং তুলি নিয়ে বসে পড়েছিলেন,শিল্পীরা। তবে ম্যাকাও পাখির খাঁচার সামনে আই, পি,এস কল্যাণ মুখোপাধ্যায় রং তুলি নিয়ে ক্যানভাসে আঁকছিলেন।
পৃথিবীর বিরল কিছু পশু পাখি এখানে রয়েছে পৃথিবীর বিরল কিছু পশু পাখি এখানে রয়েছে
advertisement
advertisement
জীবন্ত ম্যাকাও পাখির ছবি আঁকলেন তিনি। তাঁর পেশাদার জীবনের  সঙ্গে এই আঁকা একেবারে চেনা ছকের ছিল না। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘’পেশা এবং নেশা এই দুটি জিনিস একেবারেই আলাদা। আমার নেশা ,ছবি আঁকা। রং তুলিতে শুধু জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করছি।’’
advertisement
কল্যাণ বাবু,মূলত ফেলে দেওয়া,রাস্তায় পড়ে থাকা পালক দিয়ে ছবি আঁকেন।সেই ছবির মধ্যে অভিনবত্ব রয়েছে।যেহেতু সেই ছবি আঁকতে অনেকটা সময় লাগে।তাই তিনি রং তুলি দিয়ে কম সময়ে ছবি আঁকলেন। ডিরেক্টর তাপস বাবু দাবি করেন,ডান্সিং হরিণ সারা পৃথিবীতে প্রায় লুপ্ত।আমাদের দেশে মনিপুরে এই হরিণ কিছু রয়েছে। পৃথিবীতে যার সংখ্যা ৫৫টি। তার মধ্যে ৩৩টি রয়েছে,চিড়িয়াখানায়। যা প্রজনন করিয়ে এই সংখ্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনে এই হরিণ আরও প্রজনন করিয়ে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে সরবরাহ করতে পারে আমাদের রাজ্য।
advertisement
এই অঙ্কন অনুশীলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল যে,- লুপ্ত প্রায় পশুদের একটি দলিল তৈরি হয়ে থাকা এবং এই ছবি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। কারণ পশু পাখির সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় হওয়া খুব প্রয়োজন।কারণ,অনেকেই না জেনে অনেক বিরল প্রজাতির প্রাণীর ক্ষতি সাধন করে।সেই দুর্ঘটনা থেকে রেহাই করতে এই প্রশিক্ষণ  শিবির খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন তাপস বাবু। তাতে বিরল পশু পাখি রক্ষা করা সম্ভব হবে৷
advertisement
SHANKU SANTRA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
এটাই সবথেকে মোক্ষম জায়গা - কোন জায়গায় বসল এত বড় আঁকার আসর
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement