#কলকাতা: রাশিয়া থেকে পাশ ডাক্তার, অথচ রাজ্যে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য পরীক্ষাই দেননি! ডেথ সার্টিফিকেটে লেখার নিয়ম না থাকলেও, তাতে সই করেন হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। যাঁদের মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। এই দুই ঘটনায় হাওড়া এবং বালির দুই বেসরকারি হাসপাতালকে বেনজির শাস্তির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন।
কমিশনের পক্ষ থেকে হাওড়া লাইফ নার্সিংহোমে আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েহে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। পাশাপাশি, বেলঘড়িয়া মিডল্যান্ড নার্সিং হোমেও আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাসপাতালের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ না করিয়েই সেখানে করোনা আক্রন্তের চিকিৎসা চলছিল, তা গোপন সূত্রে জানতে পারে কমিশন। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এক চিকিৎসক রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাশ করে এলেও রাজ্যে প্র্যাকটিস শুরু করার জন্য পরীক্ষা না দিয়েই চিকিৎসা করছিলেন।
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাকলি দাস নামে এক করোনা আক্রান্ত রোগী। রোগীর পরিবার জানতে পারে, হাসপাতালের এক চিকিৎসক রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন, কিন্তু রাজ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয়, তা তিনি দেননি।। সেই পরীক্ষা দেওয়ার আগেই কাকলি দাসের চিকিৎসা করেছিলেন। পাশাপাশি, বেলঘরিয়ার ওই বসরকারি নার্সিংহোমে আইসিইউয়ে কর্মরত নার্সও পাশ করেননি। তবে রোগী মারা জাওয়ার পরে সেই পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন তিনি। তিনি বেঙ্গালুরু নার্সিংয়ের ডিসট্যান্স কোর্স করেছেন। এ দিন কমিশনের পক্ষ থেকে মৃতের ১০ বছরের ছেলের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হ্যেছে।
অন্যদিকে বালির লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ক্ষেত্রে ৭৪ বছরের দেবী ঘোষ নামে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট লেখেন হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুষের চিকিৎসক। তবে শেষরক্ষা হয়নি। রোগী মারা গেলে মৃত্যু শংসাপত্রে চিকিৎসকের তথ্য দেখে স্বাস্থ্য কমিশনে নালিশ জানান পরিজনেরা।সেই সারটিফিকেট্র পরিপ্রেক্ষিতে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দুই বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া।
AVIJIT CHANDA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।