‘‘ রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করাটা লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ’’: নিরঞ্জন প্রধান

Last Updated:

‘‘ রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করাটাই আমার কাছে আসল ৷ টাকাটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ ’’

#কলকাতা: ভাস্কর্য্য শিল্পকলায় গত পাঁচ দশক ধরে তাঁর অনন্য কীর্তির স্বাক্ষর রেখেছেন বহুবার ৷ কিন্তু শিল্পী নিরঞ্জন প্রধানের শিল্পকলায় যেন কোনও ক্লান্তি নেই ৷ বছরের পর বছর তাঁর দুর্দান্ত সৃষ্টিগুলি শোভা পেয়েছে কলকাতা-সহ এরাজ্যের সর্বত্রই ৷ তাঁর তৈরি রাজা রামমোহন রায়ের মূর্তি পাড়ি দিয়েছে বিলেতেও ৷ ব্রিস্টলে স্থাপিত সেই মূর্তি নিয়ে আজও চর্চা হয় সর্বত্র ৷ কিন্তু নিরঞ্জনবাবুর কাজে যেন কোনও বিরাম নেই এই ৭৮ বছর বয়সে এসেও ৷ শিল্পের প্রতি তাঁর এই ভালবাসাই এবার নিরঞ্জনবাবুকে নিয়ে গিয়ে ফেলেছিল রাইসিনা হিলে ৷ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি তৈরির জন্য এবার তাঁর ডাক আসে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ৷ টাকা-পয়সা নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও এমন দুর্দান্ত প্রস্তাব লুফে নিতে বিশেষ ভাবেননি কলকাতার বর্ষীয়ান শিল্পী নিরঞ্জন প্রধান ৷
অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করতে হবে জেনেও সেই চ্যালেঞ্জটা হাসিমুখেই গ্রহণ করেছিলেন নিরঞ্জন প্রধান ৷ রাষ্ট্রপতির মূর্তি বানানোর সুযোগ আর ক’জনই বা পান ৷ মূর্তি সাধারণত মহান ব্যক্তিরা মারা যাওয়ার পরেই বানানো হয় ৷ সেখানে জীবিত রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করার সুযোগ পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত ছিলেন কলকাতার শিল্পী ৷ নিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করাটাই আমার কাছে আসল ৷ টাকাটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ এই প্রাপ্তি আর ক’জনের ভাগ্যে হয় ? তখন রাষ্ট্রপতির কিছু ছবি পাঠাতে বলি ৷ সেগুলি দেখে কলকাতা থেকেই মাটির মূর্তিটা প্রাথমিকভাবে তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ বাকি ফিনিশিং টাচটা দিই রাষ্ট্রপতি ভবনে বসেই ৷ রাষ্ট্রপতিকে সামনে পেয়ে তাঁর লাইভ মূর্তি তৈরি করার সুযোগ পাওয়াটা সত্যি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ৷ ’’
advertisement
কিন্তু রাষ্ট্রপতির মতো দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত মানুষের পক্ষে মূর্তির জন্য বেশি সময় দেওয়াটা যে অত্যন্ত কঠিন ৷ সেটা বিলক্ষণ জানতেন নিরঞ্জনবাবু ৷ সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকে ৷ রাষ্ট্রপতি শেষপর্যন্ত আধ ঘণ্টা করে পাঁচ দিন সময় দেন শিল্পীকে ৷ ওইটুকু সময়েই যথেষ্ট ছিল অভিজ্ঞ ভাস্করের জন্য ৷ নিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘ রাষ্ট্রপতি আমাকে বলেন পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা করে সময় দিতে পারব, তাতে হবে তো ? এছাড়া তিনি প্রত্যেক সময়েই যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন ৷ আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন আমার কাজে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কী না ৷ কাজটা কী করে ভাল হয়, তার জন্য প্রণববাবু নিজেই অনেক বেশি উদ্যোগী ছিলেন ৷ এদিকে সময় খুব তাড়াতাড়ি কাটছিল, তাই শেষের দিনগুলিতে রাষ্ট্রপতি নিজেই বললেন, দেখুন এতে হবে তো ? আমি বললাম হ্যাঁ সময় তো হয়ে গিয়েছে ৷ ফেরার টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছে ৷ আমার ছাঁচ তৈরির কাজ ওই সময়ের মধ্যেই হয়ে গিয়েছিল ৷ রাষ্ট্রপতি ভবনেও আমি সবার কাছে অত্যন্ত সহযোগীতা পেয়েছি ৷’’
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন---> 
Photo Courtesy: Niranjan Pradhan/ Rashtrapati Bhavan Photo Courtesy: Niranjan Pradhan/ Rashtrapati Bhavan
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
‘‘ রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করাটা লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ’’: নিরঞ্জন প্রধান
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement