কলকাতা: খিদিরপুর থেকে দাদুর শ্রাদ্ধ করতে এসে গঙ্গার জলে তলিয়ে গেল দুই ভাই। এই ঘটনায় পরিবারের মধ্যে যে রকম শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সে রকম বারে বারে প্রশ্ন উঠছে গঙ্গার পাড়ের নিরাপত্তা নিয়ে।মাঝরাত পর্যন্ত খুঁজেও দুই ভাইয়ের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোকজন জলে নেমেও উদ্ধার করতে পারেনি দুই ভাইকে।
বুধবার সকাল ন'টা নাগাদ খিদিরপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে গোয়ালিয়র ঘাটে শ্রাদ্ধ শান্তি করতে আসে সানি শ্ব (১৭) ও নীতিশ শ্ব (২১)নামে দুই ভাই।বেলা দশটা নাগাদ সানি ও নীতিশ স্নান করতে নামে গঙ্গার ঘাটে। সে সময় জলের প্রচণ্ড স্রোতে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেসে যেতে থাকে সানি। ভাইকে ভেসে যেতে দেখে দাদা নীতিশ তাকে উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় দুই ভাই।
আরও পড়ুন: ধারণা ছিল না কারও, এবার এমন একজনকে ডাকল ইডি, তিহাড়েও আরও ভয় গ্রাস অনুব্রত মণ্ডলকে!
রাত পর্যন্ত ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডুবুরি নামিয়ে তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। এই বিষয় নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পরিবারের মধ্যে। শ্রাদ্ধ করতে এসে দুটি সন্তান খুইয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন নিখোঁজদের বাবা-মা। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় খিদিরপুরের কে এম স্মরণিতে। ছুটে আসে এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর রেলের, বর্জ্য বেচে রেকর্ড আয়! ঘটনা শুনলে অবাক হতেই হবে
কলকাতায় গঙ্গার পাড়ে যতগুলো ঘাট রয়েছে , এই ঘাট গুলোতেই প্রায় স্নান করতে নেমে কিশোর কিংবা যুবকরা গঙ্গায় তলিয়ে যায়। তলিয়ে গেলে তাদের দেহ পাওয়া যায় না সহজে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, কলকাতায় গঙ্গার ঘাট গুলোতে স্নান করতে নামার অনুমতি দেওয়া রয়েছে, কিন্তু গঙ্গা ঘাট গুলোর পাশে কোথাও ভেসেল রাখা থাকে, কোথাও বা লোহার কাঠামো, লোহার সিঁড়ি কিংবা জলের তলায় লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন কিছু। যার ফলে প্রথমেই যখন কেউ তলিয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে সেগুলোর তলায় আটকে যায় দেহ। তাদের আরোওবক্তব্য, ঘাটে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যদি জাল দেওয়া থাকে, তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কম ঘটবে বলে তাদের ধারণা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ganga, Kolkata News, West Bengal news