রঙের মিস্ত্রি থেকে একেবারে দাঁতের ডাক্তার!‌ কলকাতার বুকেই চলছে রমরমা ব্যবসা

Last Updated:

প্রথমে কিছু একটা রাসায়নিক দিয়ে, তুলো পুড়িয়ে দাঁতের ক্ষতর জায়গাতে চেপে ধরতে বলেন তাকে। তার খানিকক্ষণ পরে সরিষার তেলের সঙ্গে একটি ফলের দানা মিশিয়ে, গরম খুন্তির ওপর দেন।

#‌কলকাতা:‌ দাঁতের যন্ত্রণা,জীবন যায় যায় অবস্থা। প্রতিদিন ব্যথার ট্যাবলেট ও ওষুধ খেতে খেতে জীবন প্রায় শেষ। দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে ধর্না দিয়ে পড়ে থাকা। এসবের থেকে বিরতি চায় সাধারণ মানুষ। কারণ দাঁতের ডাক্তারের কাছে খরচ অনেক বেশি। তার জন্যই মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন বিত্ত মানুষ, কম খরচে লম্বা নিরাময় খোঁজেন। আর সেই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ,বুজরুকি চালিয়ে যায় বছরের পর বছর ধরে। স্বপন দে দাঁতের ডাক্তার। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে উনি দাঁতের চিকিৎসা করছেন,বলে দাবি করেন।
রোগী দেখার স্থান,নিমতলা ঘাট নদীর পাড়ে। দাঁতে ব্যথা, দাঁতে ক্ষত, পোকা এই সমস্ত কিছু উনি গ্যারান্টি দিয়ে অন্তত দশ বছরের জন্য সারিয়ে দিচ্ছেন। ডাক্তার স্বপনবাবু আগে ছিলেন রঙের মিস্ত্রি। তার পর তিনি নিজের শারীরিক সমস্যার জন্য, বেকার হয়ে পড়ার পরেই এই ভাবে দাঁতের ডাক্তার হয়ে পড়েন। সারাদিন বেশ ভালই চলছে তারপর থেকে। সারাদিনে এই ভাবে ভাঁওতা দিয়ে প্রচুর রোগী দেখেন। রোগীদের কাছ থেকে ১২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দক্ষিণা নেন।
advertisement
রবিবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, ফুটপাথের চেম্বারে রাম প্রসাদ সাউ নামে এক দাঁতের রোগের রোগী এসেছেন। তার চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথমে কিছু একটা রাসায়নিক দিয়ে, তুলো পুড়িয়ে দাঁতের ক্ষতর জায়গাতে চেপে ধরতে বলেন রোগীকে। তার খানিকক্ষণ পরে সর্ষের তেলের সঙ্গে একটি ফলের দানা মিশিয়ে, গরম খুন্তির ওপর দেন। মুখে একটি মাটির ফানেলের মত জিনিস ধরতে বলেন। ওই খুন্তি থেকে ওঠা ধোঁয়া রাম প্রসাদকে ওই ফানেলের মাধ্যমে টানতে বলে। এই ভাবে কিছু ক্ষণ থাকার পর, উনি দেখান, ওই ফানেল ও নীচে রাখা গামলার জলে সাদা সাদা পোকা রয়েছে। স্বপনবাবু দাবি করেন, ওই পোকা দাঁতের ভেতরে ছিল। সেগুলো বেরিয়েছে। ওখানে চিকিৎসা নিতে আসা আরও এক রোগীকে একই ভাবে চিকিৎসা করলেন তিনি। সবার দাবি, ওখানে খুব কম টাকাতে চিকিৎসা করে ভাল আছেন তাঁরা । প্রশ্ন ,দাঁতের মত চিকিৎসা এত সহজে যদি হয় তাহলে,এত  টাকা খরচ করে দাঁতের ডাক্তার বানিয়ে লাভ কি?  স্বপনবাবু, হাসতে হাসতে বলেন, অনেকদিন আগে একজন রোগীকে এখানে একজন চিকিৎসা করার পর,তার মুখ, মাথা ফুলে গিয়েছিল। সেই সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি শান্ত হতে সবাই আবার ফিরে এসে,ব্যবসা শুরু করেন। এই বিষয়ের সত্যতা নিয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন,'ভারতবর্ষে সবই সম্ভব।'
advertisement
advertisement
SHANKU SANTRA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রঙের মিস্ত্রি থেকে একেবারে দাঁতের ডাক্তার!‌ কলকাতার বুকেই চলছে রমরমা ব্যবসা
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement