#কলকাতা: পানীয় জল নিয়ে বেআইনি কাজ বরদাস্ত করবে না কলকাতা পুরসভা। অনেকেই পুরসভার পানীয় জলের ট্যাপ থেকে পাইপলাইনে করে জল টেনে নেন। কোথাও কোথাও আবার টুলুপাম্প বসিয়ে সেই জল ব্যক্তিগত কাজে লাগানো হয়। কেউ আবার হ্যান্ড পাম্প দিয়ে জল তুলে নেন অবৈধভাবে। এবার পানীয় জল নিয়ে ছেলেখেলা বরদাস্ত নয় আইন মেনে কড়া হাতে দমন করবে এই বেআইনী কাজ কর্ম। পুরসভার মাসিক অধিবেশনে একথা জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পুরসভার নলবাহিত জল বেআইনিভাবে টুলু পাম্পের মাধ্যমে টেনে বাড়ির জলাধারে জমানো হচ্ছে। যার জেরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে অঞ্চলের বাকি বাসিন্দাদের। কলকাতা পুরসভার জুনের মাসিক অধিবেশনে এমন অভিযোগ করেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলার নন্দিতা রায়।
আরও পড়ুন : লম্বা 'গরমের ছুটি' আর নয়! শহরের ১৪ টি স্কুল খুলছে সোমবার থেকেই, দেখুন তালিকা...
এলাকার ঘটনা উল্লেখ করলেও নির্দিষ্টভাবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি নন্দিতা রায়। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সমস্যার পাকাপাকি সমাধানে আইন প্রণয়ন করা যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র।
নন্দিতা রায় এদিনের অধিবেশনে আনা প্রস্তাবে উল্লেখ করেন যে, বেআইনিভাবে যে বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে, তারা পুরসভায় সরবরাহ করা জল পাচ্ছে না। সেই সমস্ত বাড়ি থেকেই টুলু পাম্পের মাধ্যমে বেআইনিভাবে পুরসভার জল টেনে নেওয়া হচ্ছে। যার জেরে কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুরের বিভিন্ন এলাকায় জল সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ বাম কাউন্সিলরের।
আরও পড়ুন : জেলায় জেলায় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! বজ্রাঘাতে ৩ নাবালিকার মৃত্যু রাজ্যে! বাঁকুড়ায় জখম ১৪
তবে এ ধরনের অভিযোগ কলকাতা পুরসভা এই প্রথম নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ বৈধ বা অবৈধ সব বাড়িতেই বেআইনিভাবে টুলু পাম্প লাগিয়ে জল তোলার অভিযোগ রয়েছে। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ থেকে নিয়ম করে অভিযান চলে। পানীয় জলের বিষয়ে বলে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে না কলকাতা পুরসভা। এবার আইনের মাধ্যমে কড়া বার্তা দিতে চাইছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ।
নন্দিতা দেবীর অভিযোগ শুনে মেয়র বলেন, এমন অভিযোগ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের জন্য আগামী দিনে বিষয়টি আইনের আওতাভুক্ত করা যায় কি না, তা আলোচনা করা হবে।
কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কোথাও নলবাহিত, কোথাও গভীর নলকূপের জল বাড়ি-বাড়ি সরবরাহ করে থাকে পুরসভা। সেক্ষেত্রে যেখানে নতুন বাড়ি তৈরি হয়, সেখানে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই ওই বাড়ি পুরসভার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। ফলে পুরসভার সরবরাহ করা জল পেয়ে থাকে পরিবারটি। তবে বেশ কিছু জায়গায় বেআইনিভাবে বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই একাধিকবার অভিযোগ জমা পড়েছে পুরসভার কাছে।
কলকাতা শহরে নতুন নতুন বহুতল হচ্ছে। সেই বহুতলের ফ্ল্যাটবাড়ি থেকেও এমন অভিযোগ আসে বলে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রের খবর। যেখানে পুরসভার জলের পাইপলাইন কেটে নল বসিয়ে টুলু পাম্প দিয়ে জল টেনে জমিয়ে রাখেন একাংশের বাসিন্দারা। ফলে সমস্যা ভোগ করতে হয় অঞ্চলের অন্য বাসিন্দাদের সাময়িক কিছু বাসিন্দাদের উপকার হলেও এর ফল ভুগতে হয় অন্যদের।
যেখানে টুলু পাম্প ও সি এন জলটা না হয় তার পরের অংশে জলের চাপ কমে যায়। চাপ এসে পড়ে কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের উপর। বারবার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে গেলেও সুরাহা হয় না। তাই এবার সমস্যা সমাধানে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Firhad Hakim, KMC