কলকাতাঃ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল প্রায় শতাধিক ঝুপড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের ফাল্গুনী বাজার এলাকায়। সন্ধে ৭'টা নাগাদ এলাকায় প্রথম আগুন দেখা যায় এরপরেই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও রাত ১০টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। দমকলের অন্তত ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়েছিল।
সল্টলেকের ফাল্গুনী বাজারের ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসন রয়েছে। আগুন লাগে সেই আবাসনেরই লাগোয়া ঝুপড়ি এলাকায়। সেখানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঝুপড়ির ভিতরে থাকা একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতেও দেখা যায় এলাকায়। যার ফলে আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয় ফাল্গুনী বাজারে। বিস্ফোরণের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আবাসনের বাড়িগুলিতেও।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষার বেসরকারীকরণ চাইছে, স্নাতকে ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালুর তীব্র প্রতিবাদ, বিক্ষোভে AIDSO
ওই বস্তি এলাকায় ১০০টিরও বেশি ঝুপড়ি ছিল। অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ঝুপড়ির বাসিন্দাদের বের করেছে দমকল কর্মীরা। ঝুপড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। পরে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু হাজির হন এলাকায়। তিনি জানান, "দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। এবং যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য উদ্যোগ নিয়েছে। আশ্রয়হারা মানুষদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগুন কীভাবে লাগলো তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।"
দমকলমন্ত্রী ছাড়াও পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা। মেয়র জানিয়েছেন, "আপাতত আশ্রয়হীনদের একটি কমিউনিটি হলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।" কৃষ্ণা বলেন, "আপাতত আগুন নেভার অপেক্ষা করছি।"
কিন্তু কী করে আচমকাই আগুন এত বড় আকার নিল? স্থানীয় সূত্রে খবর, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জন্যই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে। অন্তত ৫-৭টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফাল্গুনী আবাসনের বেশ কিছু বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঝুপড়িতে ব্যবহৃত অ্যাসবেস্টসের টুকরো ছিটকে এসে পড়ে তিন তলা আবাসনের ছাদে।
দমকলবাহিনী সূত্রে খবর, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঝুপড়ির ভিতর থেকে সিলিন্ডার বের করে এনে তা ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়। যাতে আর বিস্ফোরণ না হয়। রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত ১২-১৫টি সিলিন্ডার উদ্ধার করতে পেরেছে দমকলবাহিনী। দমকলমন্ত্রী সুজিত জানিয়েছেন, প্রাণ হাতে করেই দমকলকর্মীরা অত্যন্ত সাবধানে সিলিন্ডার উদ্ধারের কাজ করেছেন।" উদ্বার হওয়া সিলিন্ডার নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা হয়েছে। যাতে তার থেকে পুনরায় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
UJJAL ROY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fire Incident