বাংলা সাহিত্য জগতে নক্ষত্রপতন। বাঙালির সাহিত্যকে চির শূন্যতার ভরিয়ে মারণ ভাইরাসের কাছে হেরে গেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। বুধবার সকালে উল্টোডাঙ্গার বাড়িতেই নিভে গেল জীবনদীপ। যদিও তার আগেই বাংলা সাহিত্যকে তিনি যা দিয়ে গেলেন, তা হিসেবখাতায় ধরা যাবে না কোনওদিন।
এপার বাংলা নয়, ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম শঙ্খ ঘোষের। অনেকেরই অজানা, শঙ্খ ঘোষের 'সরকারি' নাম ছিল চিত্তপ্রিয় ঘোষ।
যদিও শৈশবের কিছু পরেই চলে আসেন এপার বাংলায়। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক হন তিনি। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর।
কর্মজীবনে সমাজ গঠনের কাজ, অর্থাৎ শিক্ষকতার কাজকেই তিনি প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেছিলেন। প্রথমে বঙ্গবাসী কলেজ, এরপর সিটি কলেজ, তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন তিনি।
তাঁর পড়ানোর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়িয়েছিল দিকেদিকে। ডাক এসেছিল বিশ্বভারতী ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও। ১৯৬৭-তে আমেরিকার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালাতেও যোগ দেন তিনি।
সাহিত্য জীবনে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ লিখে ধরা যাবে না। ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’, ‘মূর্খ বড় সামাজিক নয়’-এর মতো একের পর এক কাব্যগ্রন্থে তিনি বুঁদ করে রেখেছিলেন বাঙালিকে। পেয়েছেন জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী পুরস্কার, নরসিংহ দাস পুরস্কারের মতো হাজার-হাজার সম্মান। ২০১৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান তিনি। তার আগে ২০১১ সালে ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন শঙ্খবাবু।
শুধু কবিতা-কাব্যগ্রন্থ নয়, রবীন্দ্রনাথকেও অন্য আঙ্গিক থেকে দেখতে শিখিয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ‘ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Shankha Ghosh