#কলকাতা: ৬ লেন হচ্ছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েকে চার লেন থেকে ছয় লেনে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় এই কাজ শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই।
রাস্তা যেহেতু চওড়া হচ্ছে, তাই গতি বাড়বে রাস্তার। দুর্ঘটনা রুখতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে বাড়ছে গাড়ি রাখার জায়গা বা লে-বাই। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান রাস্তা হল এই দুই নম্বর জাতীয় সড়ক। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে শহর কলকাতার প্রধান যোগাযোগ হয় এই রাস্তা দিয়েই।
চার লেনের এই রাস্তা দিয়ে শিল্পাঞ্চলের পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি ছোট গাড়ি, বাস যাতায়াত করে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনএইচএআইয়ের দাবি, যত দিন যাচ্ছে তত এই রাস্তার ওপরে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান রাস্তা হওয়ার জন্য গাড়ির চাপ বেড়েছে হু হু করে। কিন্তু নানা কারণে নিত্যদিন যানজট তৈরি হওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে অনেকটাই।
গত বছরের শেষেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এই রাস্তাকে চার লেনের বদলে ছয় লেনে বদলে ফেলা হবে। সেই কাজ শুরু হতে চলেছে অবশেষে। ১৩০ কিমি লম্বা অংশ জুড়ে হবে এই কাজ। মোট দুটি ভাগে এই কাজ করা হবে। একটি অংশের কাজ হবে পানাগড় থেকে পালসিট অবধি। অপর অংশের কাজ হবে পালসিট থেকে ডানকুনির মধ্যে। পানাগড় অংশে কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল সেনাবাহিনীর অনুমতি। সেই অনুমতি পাওয়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এনএইচএআই-এর জিএম আর পি সিংহ।
তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্য হল তিন বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এই রাস্তার শুধু সম্প্রসারণ নয়। নতুন ভাবে এই রাস্তাকে গড়ে তুলতে চাইছেন। অন্যতম প্রধান এই রাস্তার দু'ধারে দিন-রাত সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক গাড়ি। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রাখার জায়গা থাকলেও, সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকে গাড়ি। এবার সেই লে-বাই এর সংখ্যা বাড়িয়ে ১৯ টি করা হচ্ছে।
এনএইচএ আই-এর জেনারেল ম্যানেজারের কথায়, "সব কটি লে-বাই অত্যন্ত আধুনিক মানের করা হয়েছে৷ প্রতিটি জায়গায় গাড়ি চালকদের থাকা, খাওয়া, বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া শৌচাগারও রাখা হচ্ছে।" জাতীয় সড়কের দু'ধার জুড়ে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। ফলে জাতীয় সড়কের রাস্তা পারাপার করে সারাক্ষণ। এই সমস্যা মেটাতে থাকছে মোট ৬০টি ভেহিকলস আন্ডারপাস। থাকছে ৩টি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ। থাকছে ৪টি ফ্লাইওভার।
সমস্যা হচ্ছে রাস্তার ডিভাইডার হিসাবে যে জমি আছে তাতে গবাদি পশু ছেড়ে বা বেঁধে দিয়ে যান অনেকেই। তারা রাস্তায় নেমে আসে। যার ফলে একাধিক দূঘটনা ঘটে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা রাস্তা ফেন্সিং করে দেওয়া হবে।
এন এইচএআই-এরপ জিএম জানিয়েছেন, "২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে এখন ৬০টির কাছাকাছি ব্ল্যাক স্পট আছে। আমাদের রাস্তা সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সেটা শূন্যে নেমে আসবে।"
রাজ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিজ্ঞতা ভাল নয় এন এইচ এ আইয়ের। বিশেষ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে। তবে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে জমির সমস্যা হবে না বলেই মত আর পি সিংয়ের। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে জমির সমস্যা মিটে গেছে বলে মত তাঁর। বাকি ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার সাহায্য করছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। আপাতত অপেক্ষা কাজ শুরু করার।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।