মানতে হবে বিসর্জনের নিয়ম, পাড়ার ঠাকুর নিরঞ্জনের আগে জেনে নিন বিস্তারিত

Last Updated:

হাওড়া কর্পোরেশন, সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পরিবেশবান্ধব প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।

#কলকাতা: পঞ্জিকা মতে দশমীর দিন বিসর্জন চলছে একাধিক গঙ্গার ঘাটে। কলকাতার মেয়র এদিন তা পরিদর্শন করেন বন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে।
কলকাতায় গঙ্গার সবকটি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই সেই ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা হবে।
advertisement
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনে ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। এ জন্য কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পুলিশ এবং পরিকাঠামো রাখা হবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। শহরের ভিতরে যে জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানে যাতে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
advertisement
advertisement
বেশ কিছু ঘাটে কাঠামো তোলার জন্য ক্রেন রাখা থাকছে। এরই সঙ্গে পুরকর্মীরা নিজেরাও কাঠামো তুলবেন। কাঠামো ভাসান দেওয়ার জন্য সমস্ত ঘাটে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘাটই হাওড়া কর্পোরেশনের তরফে রং করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। কিছু ঘাট মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
সব ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঘাটগুলিতে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এদিন প্রতিটি ঘাটই পরিদর্শন করেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা।সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সেগুলি দ্রুত তুলে এনে পুরকর্মীরা ঘাটের পাশেই রাখবেন। পরে ভোর ৩টে থেকে সেগুলি আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ঘাট পরিষ্কার দেবেন এজেন্সির লোকেরা।
advertisement
পুরকর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি ঘাটেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি করে মেডিক্যাল টিম থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য প্রতিটি ঘাটেই পুলিশ এবং কোনওরকম দুর্ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী মোতায়েন থাকবে। বিজয়া দশমী থেকে যতদিন ভাসান চলবে ততদিনই প্রতিটি ঘাটেই এই ব্যবস্থা থাকছে।
advertisement
হাওড়া কর্পোরেশন, সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পরিবেশবান্ধব প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। ভাসানের কারণে যাতে কোনওরকম গঙ্গাদূষণ না হয় তার জন্য ভাসানের পরই দ্রুত কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। এর জন্য এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে হাওড়া কর্পোরেশন।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মানতে হবে বিসর্জনের নিয়ম, পাড়ার ঠাকুর নিরঞ্জনের আগে জেনে নিন বিস্তারিত
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement