#কলকাতা: বাড়তে চলেছে হাওড়া-শিয়ালদহ-খড়গপুর ডিভিশনে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা। রাজ্য সরকার স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাতে বলেছে। একই সাথে কিছু বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে তাতে রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। বাস, ট্যাক্সি, অটো চলবে না। ফলে ভিড় বাড়বে এই অবস্থায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনেই৷ তা চিন্তায় রেখেছে রেলকে। এরই মধ্যে, ক্রমশ বাড়ছে রেল কর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে একাধিক চালক ও গার্ডের। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্মীদের জন্যে নির্দিষ্ট স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে বিনা অনুমতিতে চড়লেই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বুধবার থেকে বাড়ল স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। ৪০৭ স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে বুধবার থেকে। শিয়ালদহ ডিভিশনে বাড়ল ৪০ স্টাফ স্পেশাল। হাওড়া ডিভিশনে বাড়ল ২৫ স্টাফ স্পেশাল। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন।ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফ থেকে স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্যাঙ্ক কর্মী, পুর কর্মী, সাংবাদিকদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। রাজ্যের আবেদন রেল মেনে নিয়েছে। এরা ছাড়া যে বা যারা স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠবেন তাদের গ্রেফতার করবে বলে জানিয়েছে রেল। ভারতীয় রেলের ১৪৭ ধারায় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়তে দেওয়া হোক। রেলের একাধিক অফিসে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে এমন আবেদন। এমনকি ডি আর এম অফিস, সিপিআরও অফিস, এমারজেন্সি সার্ভিস কাউন্টার সর্বত্র ফোন করে আবেদন করে চলেছেন একাধিক যাত্রী। আবেদন ও ফোনের জেরে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করার জন্য রেলকে জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। আংশিক লকডাউনে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেনের। শুধু মাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। দিনের বাছাই করা সময়ে হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়গপুর, ব্যান্ডেল, বর্ধমান থেকে চলছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। আর তাতে করেই যাতায়াত করতে চেয়ে ভুরিভুরি আবেদন জমা পড়ছে রেলের আধিকারিকদের কাছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌছে গেছে যে ল্যান্ড ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে রেল। রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী তাঁদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চড়ার সুযোগ দেওয়া হোক। সেই মোতাবেক রেল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের লোকাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি দিয়েছে। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি৷ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করে ৩৪২ স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছিল। এবার এক ধাপে সেটা বেড়ে হল ৪০৭।
ইতিমধ্যেই পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যে কামরা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও একাধিক রেল আধিকারিকের বক্তব্য, নজর গলে অনেকেই স্টাফ স্পেশালে উঠে পড়ছেন। ফলে রেল কর্মীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় আর পি এফ ও টিকিট চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। শিয়ালদহের ডি আর এম জানিয়েছেন, "এত ফোন আর চিঠি আসছে যে আমাদের এবার অসুবিধা হচ্ছে।অনেকে এসে আবার দেখাও করে গিয়েছেন। রাজ্য এদের ব্যবস্থা করুক। আমাদের আর কিছু করার উপায় নেই।" পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে ফের ট্রেন চলাচলে যাতে সমস্যা না হয় সেটাই ভাবাচ্ছে রেল আধিকারিকদের।রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আমরা রাজ্যের কাছে ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়েছিলাম। কারণ যে হারে স্টেশনে যাত্রী বাড়ছে তার জন্যেই। রাজ্য আপাতত ট্রেন চালাতে রাজিই নয়। ফলে অবস্থা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিভিশনগুলি।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।