কলকাতা: ডিএ নিয়ে প্রতিবাদের জন্য সোমবার কর্মবিরতি বা পেন ডাউনের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারিদের মোট ৩৬টি সংগঠন৷ তবে উপস্থিতির হার বিচার করলে সেই ডাকে সাড়া পড়েনি মোটে৷ সরকারি হিসাব অনুসারে, সোমবার নবান্নে মোট উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশের বেশি৷ অন্যদিকে মহাকরণে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশের বেশি৷ এ ছাড়া অন্য দফতরেও উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশের বেশি৷ গড় উপস্থিতি ছিল ৯৬ শতাংশের সামান্য বেশি৷ ফলে উপস্থিতির বিচারে কর্মবিরতি মোটে সফল নয়৷
রাজ্য বাজেটে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পরেই একাংশের সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ তাঁরা সেই দিন থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন৷ এর পর রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ৩৬টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ থেকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়৷ সোমবার প্রতিবাদের অংশ হিসাবে এই ঘোষণা করা হয়৷ খুব জরুরি চারটি কারণ ছাড়া কেউ কাজে যোগ না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘ডাইজ নন’ বা চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা গত শুক্রবার বা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও বাধ্যতামূলক ভাবে কাজ যোগ দিতে হবে। না দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: হাতুড়ের কীর্তি! রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে কানে মারাত্মক এমসিল আঠা ঢেলে দিল হাতুড়ে
আরও পড়ুন: বালিশ দিয়ে মুখ চেপে গোপনাঙ্গে আঘাত, প্রেমিকের জন্য স্বামীকে মারল ৪৭ বছরের মহিলা
তার পরেই আইনের ফাঁক গলে কর্মসূচি পালনের কথা উঠতে থাকে৷ একাংশের সরকারি কর্মচারিরা বলেন, "আমরা অফিসে এসেছি এটা ঠিক। না হলে আমাদের বেতন কাটা যাবে। কিন্তু আমরা আজ কাজে যোগ দেব না। আগামীকাল কর্মবিরতিও করব।" তবে কর্মচারীদের একাংশ তরফে অবশ্য আবার বিরূপ প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে।
তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বলছেন "আমরা যে চেয়ারে বসে রয়েছি সেই চেয়ারে বসে কাজ করতেই হবে। এখানে নৈতিকভাবে সমর্থনের প্রসঙ্গটি আসে না। তার কারণ বিষয় টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dearness Allowance