হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
হাতুড়ের কীর্তি! রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে কানে মারাত্মক এমসিল আঠা ঢেলে দিল

Purba Bardhaman News: হাতুড়ের কীর্তি! রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে কানে মারাত্মক এমসিল আঠা ঢেলে দিল হাতুড়ে

কান থেকে রক্ত বার হওয়া বন্ধ করতে মোক্ষম আঠা লাগাল হাতুড়ে - Photo- Representative

কান থেকে রক্ত বার হওয়া বন্ধ করতে মোক্ষম আঠা লাগাল হাতুড়ে - Photo- Representative

Purba Bardhaman News: কানের অসহ্য যন্ত্রণা  মাথায় ছড়িয়ে পড়ে জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা হয়।

  • Share this:

পূর্ব বর্ধমান: কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল। সমাধান করতে এমসিল আঠা দিয়ে কান সিল করে দিল হাতুড়ে! অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে কাটোয়ায়। অবশেষে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে কান থেকে সেই আঠা বের করা সম্ভব হয়। যদিও তাতে কানের পর্দা বাঁচানো যায়নি।

পেশায় গাড়ি চালক শ্যামল প্রামাণিক বুধবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের স্থানীয় সিঙ্গি মোড় বাসস্ট্যাণ্ডের এক হাতুড়ের কাছে  কান পরিষ্কার করিয়েছিলেন। অত্যাধিক খোঁচাখুঁচি করায় শ্যামলের কান থেকে রক্ত বের হতে থাকে। হাতুড়ে শ্যামলের কানের  রক্ত বন্ধ করতে 'এমসিল' আঠা কানের ছিদ্রে  লাগিয়ে দিয়েছে বলে শ্যামল বাবুর স্ত্রী সঞ্চিতা প্রামাণিক দাবি করেন। সঞ্চিতা দেবী আরও বলেন,  শ্যামল বাবুকে হাতুড়ে বলেছিল  এই ওষুধে কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং  কিছুক্ষণ পর এটা নিজে থেকে খুলে যাবে। কিন্তু সিঙ্গি মোড় থেকে  গাড়ি নিয়ে কয়েক কিমি দূরে নিজের বাড়ি কোয়ারা গ্রামে  ফিরে  শ্যামল বাবু  অসুস্থ হয়ে পড়েন।  কানের অসহ্য যন্ত্রণা  মাথায় ছড়িয়ে পড়ে জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা হয়।

আরও পড়ুন -  Burdwan News: হবে ফোর লেন, বর্ধমানের সদরঘাটে নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

বৃহস্পতিবার সকালে  শ্যামল প্রামাণিককে   তার আত্মীয়রা গ্রাম থেকে এনে  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভরতি করে। অসুস্থ শ্যামল  প্রামাণিককে দেখেই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় কিছু একটা শক্ত পদার্থ কানে ঢুকে আছে। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন এটা 'এমসিল' জাতীয় শক্তিশালী আঠা। সাধারণত কলের পাইপের ছিদ্র  বন্ধ করতে এই আঠা  ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন -  Milk Adulteration: মিষ্টির দোকান থেকে নিয়ে এ কী জিনিস মেশানো হচ্ছে দুধে! আপনিও কি এই ভেজাল দুধ কিনছেন নাকি

চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি বর্মন বলেন, শ্যামলবাবু প্রচুর ক্ষতি হতে পারত। সময়ে এসেছে তাই বেঁচে গেলেন। তবে কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কয়েকমাস পর কানের পর্দা করা হবে। হাতুড়ের পরিচয় জানতে পারা যায়নি বলে পরিবারের লোকরা জানায়। শ্যামলবাবু সুস্থ হলে হাতুড়ের পরিচয় জানা যাবে।  শ্যামল বাবুর স্ত্রী হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন, সেই হাতুড়ে খুঁজে বের করে তার ব্যবস্থা করব।

প্রায় একঘন্টার অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের  চিকিৎসকরা যুবকের কানের ছিদ্র  থেকে এমসিল আঠা বের করলেও তার কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি বর্মন বলেন, এরকম রোগী কোনদিন পাইনি।  কানেও যে এমসিল  ব্যবহার করা যায় সেটা প্রথম দেখলাম।যুবকের আত্মীয়রা অভিযুক্ত হাতুড়ের  খোঁজ শুরু করেছে।

Saradindu Ghosh
Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Doctor, Fake doctor, Purba bardhaman