#কলকাতা: আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ বিলি নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে নবান্নে৷ আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই এ বার জেলা প্রশাসনের সব স্তরের কর্তা, অর্থাত্ বিডিও, এসডিও ও এডিএম-দের কাজের বার্ষিক মূল্যায়ন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷
নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলার এসডিও, বিডিও ও এডিএম-দের কাজে অত্যন্ত বিরক্ত নবান্ন৷ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতাও৷ তাই নিজে সরাসরি বিডিও, এসডিও-দের কাজ তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারিতে থাকবেন ৩৪৪ জন বিডিও, ৬৬ জন এসডিও ও ৬৯ জন এডিএম৷ এঁদের কাজ মমতা মনিটরিং করবেন৷ প্রতিদিনের কাজের রিপোর্ট নবান্নে আসবে৷ তারপর কাজের মূল্যায়ন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আসলে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে ত্রাণ বিলির সময় বেশ কিছু বিডিও, এসডিও-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷ আমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য জন্য নতুন করে আবেদনপত্র জমা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নয়া আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় ৬ লক্ষ৷
আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের নতুন করে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে রাজ্যের কাছে৷ সবচেয়ে বেশি ত্রাণের আবেদন জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে৷
গত ২০ মে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া এবং কিছুটা পূর্ব বর্ধমান। এই সব জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০ হাজার টাকা পাবেন আবেদনকারী আর আংশিক ক্ষতি হলে মিলবে পাঁচ হাজার টাকা।
এরপরেই শুরু হয় দুর্নীতি৷ আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে পঞ্চায়েত স্তর থেকে৷ শুধু শাসকদল নয়, বিজেপি শাসিতও বেশ কিছু পঞ্চায়েত থেকে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন আর দলের চাপে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তরা।
তথ্য: তুহিন দাস চন্দ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amphan, Mamata Banerjee